লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার পারুলিয়া তফশিলী উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ এর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জ্যোতিষ চন্দ্র বর্মন এর বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি ও বৈধ প্রভাষক-কে বাদ দিয়ে অবৈধভাবে অর্থের বিনিময়ে অন্য দুই ব্যক্তিকে প্রভাষক পদে এমপিও ভূক্তির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সংবাদ সম্মেলন করেন ওই প্রতিষ্ঠানের ভুক্তভোগী উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপনন (মাকেটিং) বিষয়ের প্রভাষক সত্যেন্দ্রনাথ সাজোয়াল ও ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের প্রভাষক আফতাবুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে তারা দাবি করেন, গত ১৫ জানুয়ারী ২০১৫ ইং তারিখে এবং গত ০৩/০৯/২০১৩ ইং তারিখে আমরা যোগদান করে আমরা নিষ্ঠার সহিত দায়িত্ব পালন করে আসছি। তৎকালীন অধ্যক্ষ অনিল চন্দ্র রায় অবসর গ্রহন করলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে জ্যোতিষ চন্দ্র বর্মন দায়িত্ব গ্রহন করেন। পরবর্তীতে কলেজ শাখা এমপিও ভূক্তির আদেশ হলে অধ্যক্ষ আমাদের কাছে এমপিও ভূক্তির জন্য ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। আমরা দু’জনেরই টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তৎকালীন সভাপতি ও পাটিকাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবুল আলম সাদাত ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জ্যোতিষ চন্দ্র বর্মন দলীয় প্রভাব খাটিয়ে আমাদের প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করতে বাঁধা সৃষ্টি করে। এক পর্যায়ে আমাদেরকে নাশকতার মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করে। পরবর্তীতে সত্যেন্দ্রনাথ সাজোয়াল এর পদে স্বপন কুমার রায় ও আফতাবুর রহমান এর পদে তৈয়ব আলীকে জালজালিয়াতি মাধ্যমে ভুয়া নিয়োগ দেখিয়ে এমপিও ভূক্তির জন্য ফাইল প্রেরণ করে এবং এমপিও ভূক্তি করেছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইং তারিখে মহা-পরিচালক বরাবর অভিযোগ করি। অভিযোগ দেওয়ার পরেও এমপিও আবেদন গ্রহন করা হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। তৎকালীন অধ্যক্ষ এবং বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ উভয়ের শিক্ষক কর্মচারীরতালিকায় আমাদের নাম অর্ন্তভূক্ত রয়েছে। আমরা প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করা অবস্থায় ২০১৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সহকারী প্রিজাইটিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন সহ অত্র প্রতিষ্ঠানে প্রভাষক হিসেবে আমাদের নাম ভোটার তালিকায় রয়েছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বুরো ব্যানবেইচ এ আমাদের নাম ২০২২ সাল পর্যন্ত অর্ন্তভূক্ত রয়েছে। ২০২৩ সালে ব্যানবেইচ এ দলিয় প্রভাব খাটিয়ে ভূয়া ব্যক্তির নাম অর্ন্তভূক্ত করেন। আমরা চাকুরীতে কর্মরত থাকা অবস্থায় তাদের নাম ব্যানবেইচ এ অর্ন্তভূক্ত ও এমপিও ভূক্তির জন্য ফাইল প্রেরণ করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জ্যোতিষ চন্দ্র বর্মন চরম দূর্নীতি করেছেন।
এ বিষয়ে পারুলিয়া তফশিলী উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ এর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জ্যোতিষ চন্দ্র বর্মন এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ মিথ্যা। আমি ২০২২ সালে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহণের পর শিক্ষক কর্মচারীর তালিকা অনুযায়ী এমপিও ভুক্তির ফাইল প্রেরন করি।
Related