কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশ হামলার অভিযোগে থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন আশরাফুল আলম নামের এক ব্যক্তি। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ। ভুক্তভোগী আশরাফুল আলম বকুল উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের মৌজা থানা ভাষারভিটা এলাকার বাসিন্দা।
জানা গেছে, সোমবার ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি)’র চাল বিতরণকে কেন্দ্র করে ওই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের নির্দেশে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে আশরাফুল আলমসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এঘটনাকে কেন্দ্র করে থানায় মমিনুল ইসলাম (৪০), আমিনুল ইসলাম (৪৫), শামিম মিয়া (২৫), সাগর মিয়া (১৯), থানাহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মিলন (৪৮) কে অভিযুক্ত করে থানায় অভিযোগ দাখিল করেছেন আশরাফুল।
লিখিত অভিযোগে আশরাফুল আলম উল্লেখ করেছেন, থানাহাট ইউনিয়র পরিষদে ভিজিডি কার্ডের মালামাল অনিয়ম ভাবে বিতরণ করায় বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়ে ওইসব কার্ডের মালামাল দেয়া বন্ধ থাকে। এসময় থানাহাট ইউনিয়ন পরিষদে এজাহারনামীয় আসামীরা সহ অজ্ঞাত নামা ৫-৬ জন আসামী ভিজিডি কার্ডের মালামাল দেয়া শুরু করে। ওইদিন দুপুরে আমি ও আশরাফুল ইসলামসহ এলাকার আরো অনেকে ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত হয়ে দেখি আসামীগণ উক্ত ভিজিডি কার্ড ধারীদেরকে অনিয়ম ভাবে মালামাল বিতরন করছেন।
ওই সময় আমি সহ আমার সাথের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সঠিক ভাবে মালামাল বিতরন করার কথা বললে অভিযুক্ত আসামীরাসহ অজ্ঞাত কয়েকজন পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী দলবদ্ধ হয়ে হাতে লাঠি সোটা, লোহার রড, কাঠের বাতা, ধারালো ছোরা, দেশীয় তৈরী অস্ত্রে হাতে নিয়ে আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। তখন আমাদের সাথে আসামীদের কথাকাটাকাটি তর্কবিতর্ক শুরু হয়। সে সময় ইউপি চেয়ারম্যানের হুকুমে সকল আসামীরা আমাদেরকে ধরে দেশিও অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ী ভাবে মারপিট করে এবং সাথে থাকা ২৫ হাজার টাকার জোর পূর্বক বের করে নেয় বলে লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন।
থানাহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মিলন বলেন, আমি ঘটনার দিন নীলফামারীতে ছিলাম। এবিষয়ে কিছুই জানি না। আনিত অভিযোগটি মিথ্যা। ভুক্তভোগী আশরাফুল আলম বলেন, আমি মাথায় আঘাত পেয়েছি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছি। ঘটনার দিন চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিল কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, মিলন চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিল না তবে পরিকল্পিতভাবে তার নির্দেশে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
ওসি প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ জানান, দুই পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলমান রয়েছে।