অভিযোগে ১৫ টি অনিয়মের বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী রশিদুল হক প্রধান শিক্ষকের স্বামী হওয়ার কারণে এসমস্ত অপকর্ম করছেন বলে এলাকাবাসী জানান। রশিদুল হক একজন শারীরিক অসুস্থ মানুষ। তার হাত-পা প্যারালাইজড। ফলে তিনি দাপ্তরিক কোন কাজ করতে পারেন না।সচেতন মহল মনে করেন, তার চাকরি করার কোনো সুযোগ নাই। তাকে স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়া উচিত। বিদ্যালয়টিকে অফিস সহকারী রশিদুল হক এবং তার স্ত্রী প্রধান শিক্ষক ফরিদা বেগম পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে পরিনত করেছেন। ফলে বিদ্যালয়ে পড়াশোনার মান নষ্ট হয়েছে। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি খুবই কম।
ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্ত এবং কোনোরকম অনুমোদন ছাড়াই প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের ভিতরের মেহগনি ও জলপাই গাছ কেটে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রেজওয়ানুল হক জানান,অনেকদিনের বেশ মোটা গাছগুলি প্রধান শিক্ষক এবং সাবেক সভাপতি মিলে কেটে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অভিযোগ রয়েছে, প্রধান শিক্ষক দীর্ঘদিন যাবত বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি নিজেদের লোকজনদের দিয়ে করে আসছেন। লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে নিয়োগ বাণিজ্য করে আসছেন। এ বাণিজ্যে সরকারি কর্মকর্তাও জড়িত বলে জানান রশিদুল হক। এখানে কোন সচেতনতামুলক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়না।এসেম্বলি হয়না।
এহেন অবস্থা থেকে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা সংস্কার এবং সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনা খুব জরুরি।