রংপুর টাউন হলে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে রংপুর বিভাগীয় সাহিত্য সম্মেলন অনুষ্ঠিক হয়েছে। বিভাগীয় লেখক পরিষদ রংপুর এর চতুর্দশ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ আয়োজন করা হয়েছিলো। রবিবার সম্মেলনের উদ্বোধন করেন তিন বাংলার গ্লোবাল সভাপতি, কবি ও সম্পাদক সালেম সুলেরী। প্রধান অতিথি ছিলেন রংপুর বিভাগের আতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মো. আশরাফুল ইসলাম। সম্মানিত অতিথি ছিলেন, স্থানীয় সরকার, রংপুরের উপপরিচালক রায়হান কবির, আমেরিকা প্রবাসী কবি ও কন্ঠশিল্পী সহিদুল সরকার, রংপুর মিউজিক্যাল ব্যান্ডস্ এর আহ্বায়ক জহির আলম নয়ন।
এতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও শহিদ আবু সাইদ বিষয়ে বিশেষ বক্তব্য রাখেন এনটিভি এর সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট একেএম মঈনুল হক, স্বাগত বক্তব্য রাখেন, পরিষদের সহ সভাপতি ও সম্মেলন উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক রশীদুল ইসলাম চৌধুরী, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন পরিষদের সাধারন সম্পাদক জাকির আহমদ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয় এবং দেশের সকল শহিদ ও জুলাই আন্দোলনে শহিদদের স্মরনে নিরবতা পালন করা হয়।
উদ্বোধন শেষে রংপুর বিভাগের আট জেলা থেকে আগত কবি সাহিত্যিকগণ জেলা ভিত্তিক প্রাণবন্ত পরিবেশনা উপস্থাপন করেন। এর পর লেখালেখি বিষয়ক সেমিনারে, লেখালেখির মৌলিক জ্ঞান বিষয়ে আলোচনা করেন, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও লেখক মোতাহার হোসেন সুজন। লেখকদের বানান সচেতনতা বিষয়ে আলোচনা করেন, বিভাগীয় লেখক পরিষদের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মজনুর রহমান।
সমাপনী পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কবি, নাট্যকার প্রাবন্ধিক, বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক, ফরিদ আহমদ দুলাল। সম্মানিত অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ বেতার রংপুরের আঞ্চলিক পরিচালক আব্দুর রহিম, রঙ্গপুর সাহিত্য পরিষৎ এর সাধারন সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন, ও/এ সরকারি কলেজ তারাগঞ্জ, রংপুরের অধ্যক্ষ, শিক্ষাবিদ ও গবেষক প্রফেসর ড. এআইএম মুসা, বেগম রোকেয়া বিশ্ব বিদ্যালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মো. এমদাদুল হক, কবি, প্রাবন্ধিক ও শিশু সাহিত্যিক বাবুল আনোয়ার, জেলা কালচারাল অফিসার নুঝাত তাবাসসুম রিমু। বক্তব্য রাখেন, বিভাগীয় লেখক পরিষদ রংপুর এর রংপুর জেলা কমিটির সভাপতি এটিএম মোর্শদ ও সাধারন সম্পাদক শামসুজ্জামান সোহগ। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় লেখক পরিষদের সভাপতি বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব কাজী মো. জুননুন। সম্মেলনে রংপুর বিভাগের আট জেলার ৮ গুণী সাহিত্যিক, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, সেরা সংগঠন, সেরা সংগঠক, বন্ধুপ্রতিম সংগঠন ও পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানকে সম¥াননা প্রদান করা হয়।