রংপুরের পীরগাছায় জহুরুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ীকে ভুয়া ডিবি সেজে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের পর তাকে মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শতাধিক নারী-পুরুষ থানায় উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভ করেছেন। তারা নিরপরাধ ওই ব্যবসায়ীর মুক্তির দাবি জানায়।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন পীরগাছা থানার ওসি নুরে আলম সিদ্দিকী। এর আগে সোমবার রাতে তাকে বাড়ি থেকে আটক করে যৌথবাহিনী।
অভিযোগে জানা যায়, গত ২৬ ডিসেম্বর বিকেলে নিজ দোকানে বসে ছিলেন উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের জ্ঞানগঞ্জ বাজারের হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলাম। এসময় নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় রতনপুরের একটি কলাবাগানে।
সেখানে তাকে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে বলা হয়। পরে আকস্মিকভাবে সেখানে স্থানীয় ব্যাপারিপাড়া গ্রামের শামিম মিয়া, রাজু মিয়া, হরিরাম গ্রামের মোশাররফ হোসেন, নুরুল ইসলাম ও রতনপুর গ্রামের শান্ত মিয়া উপস্থিত হয়ে মধ্যস্থতা করে নগদ ও বিকাশের মাধ্যমে এক লাখ ১৭ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেন।
মুক্তি পাওয়ার পর জহুরুল ইসলাম পীরগাছা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু এরপরই ঘটনা নতুন মোড় নেয়। গত সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে যৌথবাহিনী তাকে গ্রেফতার করে। অভিযোগ—তিনি একজন মাদক ব্যবসায়ী।
জহুরুলের গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকাবাসী বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। পরে মঙ্গলবার দুপুরে শতাধিক নারী-পুরুষ থানায় গিয়ে তার মুক্তি দাবি করে। তাদের বক্তব্য, জহুরুল নির্দোষ। আসল দোষীরা তাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে।
জহুরুলের স্ত্রী আরজিনা বেগম বলেন, আমার স্বামীকে যারা অপহরণ করেছিল, তারাই আজ তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই।
পীরগাছা থানার ওসি নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, জহুরুলকে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে তার আগের কোনো অপরাধ রেকর্ড আছে কি না, তা যাচাই করা হচ্ছে।