গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে ভুট্টার চাষাবাদ করেছেন সাঘাটার কৃষকেরা। অনুকূল আবহাওয়া, উন্নত জাতের বীজ ও কৃষি বিভাগের পরামর্শে বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষক । সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে , সাঘাটা, হলদিয়া, ভরতখালী ও পদুমশহর ইউনিয়নসহ সাঘাটায় কম বেশি সব ইউনিয়নে ভুট্টা চাষ করেছেন কৃষকেরা , ভুট্টা পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন স্থানীয় কৃষকরা। তারা সরকারি সহায়তা ও কৃষি ঋণ পেলে আগামীতে আরও বেশি জমিতে ভুট্টা চাষাবাদ করবে ।
কৃষি অফিস সূত্রে যানা যায়, চলতি মৌসুমে ভুট্টা চাষাবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৯৮৩ হেক্টর, কিন্তু বর্তমানে কৃষকেরা চাষাবাদ করেছেন ২ হাজার ২৪ হেক্টর। ফলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪১ হেক্টর বেশি জমিতে ভুট্টা চাষাবাদ করেছে সাঘাটার কৃষকেরা। সাঘাটা বিভিন্ন ইউনিয়নে কৃষকদের সাথে কথা হলে তারা জানায়, পদুম শহর ইউনিয়নের কৃষক আশরাফ হোসেন জানায় আমি ক্লাসি০০১ ও টাইগার ভুট্টার বীজ ৫ বিঘা জমিতে রোপন করি। আমি আশা করি বিঘা ৪০ থেকে ৫০ মন ভুট্টা পাবো।যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয়। ন্যায্যমূল্য পেলে তবেই আমরা লাভবান হবো।
বোনার পাড়া তেলিয়ান গ্রামের কৃষক আব্দুল হামিদ জানায়, আমি ব্যবসা করি বাড়িতে আমার দুইটা বিদেশি গাই (গাভি) আছে। আমি দুই বিঘা জমিতে ভুট্টার আবাদ করেছি। এই ভুট্টা মারাই করে সারা বছর গরুকে ভাঙ্গে খাওয়াবো। গরুর দুধও বেশি হবে গরুর স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের বেড়া গ্রামের আনছার আলী জানার ভুট্টার ফলন বেশ ভাল হয়েছে। এবার ন্যায্য দাম পেয়ে আমরা লাভবান হবো ।
সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যার রফিকুল ইসলাম জানান, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার ফলন বেশি ভাল হয়েছে । কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে বিনামুল্যে সার বীজ পাওয়ায় কৃষকদের চাষের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে । সাঘাটা কৃষি কর্মকর্তা সাদেকুজ্জামান সকালের বাণীকে বলেন , চর উন্নয়ন প্রকল্প ও রাজস্ব কার্যক্রমের আওতায় ভুট্টার প্রদর্শনী স্থাপন করা হয়েছে এবং কৃষকদের আধুনিক প্রযুক্তির প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ৯০০ জন কৃষককে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় দুই কেজি করে বীজ এবং ১০ কেজি ডিএপি ও এমওপি সার দেওয়া হয়েছে। জমিতে সঠিকভাবে সার ও কীটনাশকের ব্যবহারের বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।