বিদ্যুতের ভেলকিবাজি নেই,রাস্তায় নামলে যানজট নেই।আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকটা ভালো ছিল। বাজারে জিনিসপত্রের দামও হাতের নাগালে পবিত্র মাহে রমজানে এমন স্বস্তি বিগত ২০ বছরে কখনো দেখা যায়নি,তার পূর্বের বছরগুলোর কথা মানুষ মনে রাখতে চায় না।
জালিম হাসিনার পতনের পর জাহেলিয়াত মুক্ত পরিবেশেই এ বছর সিয়াম সাধনা পালন করলো ধর্মপ্রাণ লোকজন।আলহামদুলিল্লাহ্ এভাবে স্বস্তির কথা জানালেন রাজারহাট রেসিডেন্সিয়াল শিক্ষক আব্দুল কাদের।নানা শ্রেণীর পেশা ও বয়সের মানুষের সাথে কথা বলে প্রায় একই রকম প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় ভিন্ন এক পরিবেশ পরিস্থিতিতে এবার পালিত হলো সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র মাহে রমজান। রহমত,মাগফিরাত ও নাজাতের এই মাসটি এবার পালিত হলো লোডশেডিং এর যন্ত্রণা ছাড়ায় সেহেরী তারাবি ও ইফতার সেরেছে ধর্মপ্রাণ মুসলমান।তারাবি ২০ রাকাত না ৮ রাকাত পড়বে এটা নিয়ে কিছুটা মতভেদ তর্কবিতর্ক ছিল এবং চলমান থাকবে।তবে কে কত গুরুত্ব সহকারে নফল ইবাদত পালন করতে পারে সেটা ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের আত্ম তুষ্টির ওপর নির্ভর করে। বিগত ২০ বছরের মধ্যে এবার ওই রোজার বাজারে ভোগ্য পণ্যের দাম কম।রমজানের শুরুতে ভোজ্য তেল নিয়ে তেলেসমাতি হলেও সরকার তা কৌশুলিভাবে সামাল দিতে পেরেছেন। গত বছরের এক কেজি পেঁয়াজের মূল্যে এ বছর ৪ কেজি পেঁয়াজ জনগণ কিনতে পেরেছে। ছোলা, সবজি, ডাল,খেজুরসহ রোজার নিত্য প্রয়োজনীয় প্রায় সকল পণ্যের দাম হাতের নাগালে ছিল। আওয়ামীলীগের মাফিয়া সিন্ডিকেট ভেঙ্গে যাওয়ায় আমদানি কারকের সংখ্যাও বেড়ে যায় সরকার দ্রব্যমূল্যের লাগাম টেনে ধরতে কিছু কিছু পণ্যের আমদানি শুরু কর কমিয়ে দেওয়ায় বাজার স্বাভাবিক হয়। বিগত ফ্যাসিষ্টের আমলে সব কিছুর কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে জিনিস পত্রের দাম বেড়েছে শুনলেই আমাদের বিকল্প সব পরামর্শ দেয়া হতো কিন্তু দাম বৃদ্ধির লাগাম টেনে ধরা হতো না।রমজানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কাপড়ের দোকান গুলোতে সকাল থেকে রাত ১১-১২ টা অবধি উপচে পরা ভীড় দেখা গেছে। এদিকে দীর্ঘ দিন পর অনেক শান্তি আর স্বস্তিতে পবিত্র মাহে রমজান পালন করতে পারায় খুশি সাধারণ মানুষ।মসজিদে মসজিদে পালিত হয়েছে ইফতার মাহফিল। ফ্যাসিবাদ মুক্ত গণতান্ত্রিক পরিবেশে রাজনৈতিক দল ও তার অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে পালিত হয়েছে ইফতার মাহফিল। জনগণের প্রত্যাশা এভাবে কাটুক পরবর্তী সরকারের আমলে বছরগুলোতে।