মানবতা এখনও বেঁচে আছে, এ প্রমাণ রেখেছে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার একদল উদ্যমী তরুণ। মানবতার দর্পণ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি প্রবাসী ও দেশি তরুণদের মিলিত প্রয়াসে বারবার মানবতার জয়গান গাইছে। এবার তাদের মহৎ উদ্যোগে উপজেলার উত্তর সাথালিয়া গ্রামের হতদরিদ্র, অকর্মক্ষম ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধ আব্দুল হামিদের জীবনে দেখা মিলেছে নতুন এক সূর্যোদয়। দীর্ঘদিন ধরে তিনি মানবেতর জীবন কাটাচ্ছিলেন ছেঁড়া পলিথিন আর কাঠের টুকরো দিয়ে তৈরি জরাজীর্ণ এক ঘরে। ঝড়-বৃষ্টি আর শীত-তাপের কাছে অসহায় আব্দুল হামিদের দিন কাটতো আতঙ্ক আর অনিশ্চয়তায়।
কিন্তু মানবতার দর্পণ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের অসামান্য প্রচেষ্টায় সেই দুর্দশা আজ অতীত। সংগঠনের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত টিনের ছাউনি দেওয়া নতুন ঘরটি এখন আব্দুল হামিদের একমাত্র আশ্রয়—যেখানে তিনি নিরাপদে, শান্তিতে রাত কাটাতে পারেন। চোখে জল নিয়ে তিনি বলেন, ভেবেছিলাম হয়তো খোলা আকাশের নিচেই শেষ জীবন কাটবে। আজ এই ঘরটা যেন স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে। সংগঠনের সভাপতি মানিক সরকার, সিনিয়র সহ-সভাপতি শিহাব বেপারী, সাধারণ সম্পাদক সাফায়েত বাপ্পি, সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন মিয়া, অর্থ সম্পাদক জাকির মিয়া, প্রধান উপদেষ্টা রেজওয়ান মন্ডলসহ সংগঠনের নিবেদিত প্রাণ সদস্যদের নিরলস পরিশ্রমে মাত্র ১৮ হাজার ৬শ ২০ টাকায় এ মহতী উদ্যোগ সফল হয়েছে।
সিনিয়র সহ-সভাপতি শিহাব বেপারী বলেন, আমরা চাই, সমাজের প্রতিটি অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে। আমাদের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় যদি একজন মানুষের জীবন বদলায়, সেটাই আমাদের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। এছাড়াও সভাপতি মানিক সরকার বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, মানবতার ছায়াতলে সবাইকে নিয়ে আসা সম্ভব। আমাদের এই ক্ষুদ্র উদ্যোগ সমাজে বড় পরিবর্তনের বার্তা বহন করুক।
এ বিষয়ে ওই এলাকার ইউপি সদস্য আব্দুল হাই বলেন, সংগঠনটির এমন উদ্যোগে আমরা খুব আনন্দিত। ভুক্তভোগী ব্যক্তিকে আমরাও পরিষদের পক্ষ থেকে যথেষ্ট সহায়তা চেষ্টা করেছি।ইউএনও মির মো. আল কামাহ তমালকে বিষয়টি জানানো হলে সর্বাঙ্গীণ পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন সংগঠনটির ইতিবাচক কর্মকান্ডে।