খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উল্লিখিত এলাকার বাসিন্দা ভ্যান চালক ইয়াকুব আলী ও গৃহিনী সুলতানা বেগম দম্পতির ছেলে সোহেল রহমান ওরফে সুমন। তিনিও পেশায় একজন ভ্যানচালক। প্রতিদিনের মতো ঘটনার দিন গতকাল রবিবার সকাল আনুমানিক ছয়টার দিকে তাঁর স্ত্রী রিতা আক্তার নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে কর্মস্থলে যান।
আর সকাল সোয়া দশটার দিকে তাঁর (সোহেল রহমান সুমন) বাবা ইয়াকুব আলী ও মা সুলতানা নাতনি সাথীকে (৫) সঙ্গে নিয়ে চান্দিয়ারপাড় এলাকার এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। এ সময় বাড়িতে শুধুমাত্র সোহেল রহমান ওরফে সুমন একাই অবস্থান করছিল।
বাড়ির লোকজনে অনুপস্থিতিতে সুমন নিজ ঘরে বাঁশের তীরে সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে বাড়ির আশেপাশের লোকজন তাঁর আত্মহত্যার ঘটনাটি টের পান। এরপর খবর পেয়ে সৈয়দপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সোহরাব হোসেন সঙ্গীয় পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন।
মৃতের বাবা ইয়াকুব আলী বলেন, তাঁর ছেলে নেশাগ্রস্ত ছিল। তবে কারও সঙ্গে কখনও কোন রকম খারাপ আচরণ করেনি সে। তবে কি কারণে সে আত্মহত্যা করেছে তা জানেন না বলে জানান তিনি।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফইম উদ্দিন জানান, লাশের প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। তাঁর গলায় ফাঁসের চিহ্ন ছিল। এ বিষয়ে পরিবার ও এলাকাবাসীর কোন অভিযোগ না থাকায় আইনী প্রক্রিয়া শেষে মৃতের লাশ তাঁর পরিবারেরকাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় এক অস্বাভাবিক মৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে।