সরাসরি বুড়িমারী রেলওয়ে স্টেশন থেকে আন্তঃনগর ‘‘বুড়িমারী এক্সপ্রেস’’ ট্রেন চালুর দাবিতে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছেন স্থানীয়রা। রোববার (২৭ এপ্রিল) সকাল থেকে হাতীবান্ধা মেডিকেল মোড়ে গাছের গুড়ি ফেলে দুরপাল্লার বাস-ট্রাক আটকে দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা। তবে ছোট যানবাহনের চলাচল অব্যাহত রয়েছে। আন্দোলনকারীরা জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের সড়ক অবরোধ কর্মসূচি চলবে। এর আগে, গত ২১ এপ্রিল থেকে টানা সাতদিন ধরে হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম সড়ক ও রেলপথ অবরোধের কারণে লালমনিরহাট-বুড়িমারী রুটের চারটি উপজেলার মধ্যে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
জানা গেছে, গত বছরের ১২ মার্চ বুড়িমারী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ‘‘বুড়িমারী এক্সপ্রেস’’ ট্রেনের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। কিন্তু উদ্বোধনের এক বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও সরাসরি বুড়িমারী স্টেশন থেকে ঢাকা রুটে ট্রেনটি চলাচল শুরু হয়নি। এ অবস্থার প্রতিবাদেই নতুন করে অবরোধের ডাক দেন স্থানীয়রা। অবরোধকারীরা অভিযোগ করেন, ট্রেনের নাম ‘বুড়িমারী এক্সপ্রেস’ হলেও তা বুড়িমারী রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে যায় না। পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ ও আদিতমারী উপজেলার হাজারো মানুষের প্রাণের দাবি— দ্রুততম সময়ের মধ্যে বুড়িমারী রেলস্টেশন থেকেই সরাসরি ঢাকাগামী ট্রেন চালু করতে হবে।
অবরোধ চলাকালে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা সায়েদুজ্জামান কোয়েল, আব্দুর রাজ্জাক সবুজ, সাংবাদিক ফারুক হোসেন নিশাত, ফিরোজ হোসেন, শামসুল আলম বুলেটসহ হাতীবান্ধা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।