সরেজমিনে দেখায় যায়, গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার মুক্তিনগর ইউনিয়নের হাটভরতখালী গ্রামের ছলিম উদ্দিন (৬৮) । তার বাপ-দাদার সম্পদ না থাকায় প্রায় ৪০ বছর আগে তিনি একই গ্রামের ছাদেক আলির তিন ছেলে শহিদুল ইসলাম, আশারাফুল আলম হাফিজার মাষ্টারের জমিতে বসত-ভিটা স্থাপন করেন। এবং তাদের জমি-জমার ফসল বোপন-রোপন ও কর্তনসহ যাবতীয় কৃষিকাজের দেখা শুনার দায়িত্ব নেন। কেয়াটেকার হিসাবে দীর্ঘ ৩ যুগ চলার পরে তাদের তিন ভাইয়ের জমি-জমার ফসল বোপন-রোপন ও কর্তনসহ যাবতীয় কৃষিকাজ করার শর্তে ২০১৮ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর জমির মলিক তিন ভাই শহিদুল ইসলাম, আশারাফুল আলম ও হাফিজার মাষ্টার গাইবান্ধা আলাদতের মাধ্যেমে বসতভিটায় থাকার অস্থায়ী মালিকানার এভিডেভিট করে দেন। যাতে এখানেই বসতবাড়ী স্থাপন করে পরিবার বর্গনিয়ে স্বাধীন ভাবে চলতে পারে ও কেয়ারটেকারের দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করতে পারে। চলতি বছরে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারনে ছলিম উদ্দিনের বসতবাড়ীর চাল নষ্ট হওয়ায় মেরামতের জন্য টিন ও যাবতীয় জিনিসপত্র দিয়ে ঘর মেরামতের চেষ্টা করতে থাকলে এই জমিটি কাকাদের দাবী করে কাজে বাধা দেন প্রভাবশালী স্থাণীয় গোবিন্দ সাহা । তিনি তার ভাই-ভাতিজাদের সাথে নিয়ে বসতবাড়ী মেরামতে বাধা দেয় । ফলে ছলিম উদ্দিনের পরিবার খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
ভুক্তভুগী ছলিম উদ্দিন জানান, আমি পরিবার স্কুল পড়–য়া কিশোরী মেয়েসহ পরিবার নিয়ে খোলা আকাশের নিচে কষ্টে জীবন যাপন করছি । কেউ নেই আমাকে সহযোগীতা করার । ইউনিয়ন পরিষদ ও থানায় গিয়েও বিচার পাইনি !
ভুক্তভুগী ছলিম উদ্দিননের স্ত্রী নজেদা বেগম জানান,এখন আমরা রাতে জেগে থাকি কারন ঘরবাড়ী না থাকায় রাতের আধারে আমার ৮ম শ্রেনীতে পড়া মেয়ের সাথে খারাপ কিছু হতে পারে। আমরা বিচার চাই ঘরবাড়ী স্থাপন করার জন্য সবার সহযোগীতা চাই। আমরা স্বাধীন ভাবে বাচতে পারি।
অভিযুক্ত গোবিন্দ সাহা জানান, এই জায়গাটির সব কাগজপত্র আমার কাকদের নামে তাই আমরা এই জায়গাতে কোন ঘর-বাড়ী করতে দিবো না। জায়গাটি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান।
সাঘাটা থানার এস আই সুপদ জানান, এই বিষয়ে গত ২৮ এপ্রিল সাঘাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভুগী ছলিম উদ্দিন। অভিযোগটি তদন্ত করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আহসান হাবিব লয়ন ভাইকে মিমাংসা করার প্রস্তাব দেই।”
এই বিষয়ে সাঘাটার মুক্তিনগর ইউয়িন পরিষদের চেয়ারম্যান আহসান হাবিব লায়ন জানান, ভুক্তভুগী ছলিম উদ্দিন দীর্ঘদিন থেকে বসবাস করছেন। আমরা এই ভুমিহীন পরিবাটিকে পাশে আছি। এই বিষয়টি নিয়ে অনেক বার মিমাংসার চেষ্টা করেছি কাজ হয়নি গোবিন্দ সাহার লোকজন মিমাংসায় গুরত্ব দেয়নি।
এই বিষয়ে সাঘাটা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাদশা আলম মুঠোফোনে জানান,“অভিযোগটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।