


বিভাগীয় শহর রংপুর থেকে প্রকাশিত বহুল প্রচারিত দৈনিক সকালের বাণীতে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর গবাদি পশুর তড়কা রোগ (অ্যানথ্রাক্স), ক্ষুরা, লাম্পি ও বাদলা প্রতিরোধের জন্য ৪৪ হাজার ৩২৪ ভ্যাকসিন মিলেছে। গত শনিবার (১০ অক্টোবর) দৈনিক সকালের বাণী পত্রিকায় শেষ পৃষ্ঠায় ‘গবাদি পশুর অ্যানথ্যক্স, ক্ষুরা ও লাম্পি প্রতিরোধে পার্বতীপুরে ভ্যাকসিন নেই” এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। গত শনিবার দিনাজপুর প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুর রহিম (স্মারক নং-৩৩.০১.২৭০০.০০০.১৬.০০১.২৪) কর্তৃক গবাদি পশুর তড়কা রোগ (অ্যানথ্রাক্স) দুই হাজার মাত্রা, ক্ষুরা রোগে ২২৪ মাত্রা, লাম্পি রোগে ১০০ মাত্র, হাঁসের ডার্ক প্লেগ’র জন্য ৮ হাজার, কবুতরের পিজিয়ন পক্স ১৫ হাজার, ব্যাকটেরিয়া-বাহিত বাদলা রোগের জন্য দুই হাজার, মুরগির গলাফুলা দুই হাজারসহ মোট ৪৪ হাজার ৩২৪ ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হয়েছে।
গতকাল রবিবার দুপুরে উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করা হলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পার্বতীপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের ভেটেরেনারি সার্জন ডা. মোছাহেব আহমদ নাঈম। তিনি বলেন, রবিবার শহরের নতুন বাজার এলাকায় খামারি মোহাম্মদ প্রিন্সের বাড়িতে ক্যাম্প করে সরকারি মূল্যে এসব ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। পর্যায়ক্রমে উপজেলার ১০ ইউনিয়ন এবং এক পৌরসভাসহ গবাদিপশু গৃহপালিত ও খামারি এলাকায় ক্যাম্প করে সরকারি মূল্যে ওই সব ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
পার্বতীপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর বলছে, লাম্পি, ক্ষুরা রোগ মাঠে চলমান রয়েছে। পাশের উপজেলায় তড়কা রোগের প্রাদুর্ভাব রয়েছে। এ উপজেলায় ১ লাখ ৫৭ হাজার ৫৬টি গরু রয়েছে। উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস মাঠে কাজ করছে। পার্বতীপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরে ভ্যাকসিন না থাকায় খামারিরা বিভিন্ন কোম্পানির ভ্যাকসিন উচ্চমূল্যে কিনে। সরকারি ক্ষুরা (ফুট এন্ড মাউথ ডিজিজ) ষোলমাত্রার এক ভায়েল ভ্যাকসিনের মুল্য ৪০০টাকা। ভ্যাকসিন বিভিন্ন কোম্পনীর ফার্মেসি থেকে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকায় কিনে খামারিরা। সরকারি লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) পাঁচমাত্রার এক ভায়েল ভ্যাকসিনের মুল্য ২৫০টাকা। বাজার থেকে বিভিন্ন কোম্পানির ফার্মেসি থেকে ২ হাজার ২শ’ থেকে ২ হাজার ৫শ’ টাকায় কিনে গবাদিপশু প্রান্তিক খামারি ও খামারিরা। এব্যাপারে পার্বতীপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভেটেরেনারি সার্জন ডা. মোছাহেব আহমদ নাঈম বলেন, গবাদিপশুর তড়কা রোগ (অ্যানথ্রাক্স), ক্ষুরা ও লাম্পি প্রতিরোধের জন্য ৪৪ হাজার ৩২৪ ভ্যাকসিন পাওয়া গেছে।
যেহেতু আমরা ভ্যাকিসন পেয়েছি আজ রবিবার থেকে আমরা ক্যাম্প করে গবাদিপশুকে ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আশা করছি পর্যায়ক্রমে উপজেলা ও পৌরসভায় প্রান্তিক খামারি ও খামারিদের মাঝে সরকারি মূল্যে ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। রোগ প্রতিরোধে গরুর মালিক ও খামারিদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আক্রান্ত এলাকায় উঠান বৈঠক ও লিফলেট বিতরণ। গরু রাখার জায়গা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার পরামর্শ দেয়া হবে।