


রংপুরের কাউনিয়ায় শাশুড়িকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে আপন জামাতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শাশ্বড়ী শনিবার কাউনিয়া থানায় একটি লিখিত এজাহার(মামলা) দায়ের করেছেন। এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ভুক্তভোগী শাশ্বড়ী ও জামাতা মো. কাজিমুদ্দিন (৫০), পিতা-মৃত আব্দুল কাদের, গোপীডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা এবং শাশুড়ির সঙ্গে একই বাড়িতে বসবাস করেন। দীর্ঘদিন ধরে আসামি জামাতা তার শাশ্বড়ীর প্রতি কুনজরে তাকিয়ে আসছিলেন, কিন্তু সামাজিক লজ্জা ও পারিবারিক সম্পর্কের কারণে ভুক্তভোগী বিষয়টি কাউকে জানাননি।
প্রায় ২৫ দিন আগে ভুক্তভোগীর মেয়ে মোছা. মেরিনা আক্তার কর্মের কারণে ঢাকায় চলে যান। এ সুযোগে জামাতা কাজিমুদ্দিন দুই দফায় তার শাশুড়িকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। সর্বশেষ গত ৮ অক্টোবর সকালে মেয়ে মেরিনা আক্তারের গোপিডাঙ্গা গ্রামের বাড়িতে একা অবস্থানকালে আসামি আবারও তাকে শয়ন ঘরে নিয়ে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী শাশ্বড়ী।
মামলায় আরও বলা হয়, লজ্জা ও ভয়ভীতির কারণে ভুক্তভোগী ঘটনাটি গোপন রাখেন এবং কয়েকদিন আত্মগোপনে থাকেন। পরে মেয়ে বাড়ি ফিরে এলে বিষয়টি জানালে সে উল্টো ক্ষিপ্ত হয়ে মাকে ভয়ভীতি দেখায়। পরবর্তীতে অসহ্য হয়ে শাশ্বড়ী তার ছেলে মো. আলী আকবরসহ পরিবারের অন্যদের ঘটনাটি জানান এবং থানায় এজাহার দায়ের করেন।
কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ শাহ বলেন এ ব্যাপারে ভিকটিম বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (ধর্ষণ) মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং ৫।