সোমবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যা পর থেকে মঙ্গলবার ভোর রাত পর্যন্ত অত্যান্ত জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব শ্যামাপূজা (কালীপূজা) ও দীপাবলি উৎসবটি পালন করেছে।
সোমবার রাত ৮ পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ফুলবাড়ী উপজেলার কেন্দ্রীয় সার্বজনীন কালিমন্দিরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের মন্দিরগুলোতে শ্যামাপূজা (কালীপূজা) অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি কালি মন্দিরে উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা অর্চনার পাশাপাশি উপচে পড়া ভক্তের সমাগম ঘটে।
সনাতনীদের মতে দীপাবলি হলো আলোর উৎসব—যেখানে প্রদীপ জ্বালিয়ে অন্ধকার দূর করার মধ্য দিয়ে শুভ ও কল্যাণের প্রতীককে প্রতিষ্ঠা করা হয়। বিশ্বাস করা হয়, অশুভ শক্তির বিনাশ ও সত্য-শুভের বিজয়ের প্রতীক এই দীপাবলি।
হিন্দু ধর্মমতে, অন্ধকারের অন্তে আলোর উদ্ভাসনের বার্তা নিয়েই দীপাবলির আগমন ঘটে। বাংলা পঞ্জিকা অনুযায়ী কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে প্রতি বছর এই দুই উৎসব পালিত হয়।
শ্যামাপূজার দিনে প্রত্যেক সনাতনী পরিবারের ঘরে ঘরে, মন্দিরে, ফসলের মাঠে পথ-ঘাটে ও বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সারি সারি প্রদীপ জ্বালিয়ে মানুষজন পরিবার, দেশ ও জাতির কল্যাণে শান্তি, সমৃদ্ধি ও সুখের জন্য প্রার্থনা করেন।
প্রতি বছর সনাতন ধর্মাবলম্বীরা অন্ধকার থেকে আলোর পথে যাত্রার প্রতীক ও উৎসবের মাধ্যমে জাগতিক অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভ শক্তির আরাধনা করেন। শক্তি, শান্তি ও কল্যাণের দেবী শ্যামা বা কালী মায়ের আগমনে এই দিনটি প্রত্যেক সনাতনীদের পরিবারে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ হিসাবে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ফুলবাড়ী উপজেলার শাখার সভাপতি কার্তিক চন্দ্র সরকার ও বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও সুনীল চন্দ্র রায় জানান, সারাদেশের ন্যায় অত্যান্ত সুন্দর ও উৎসব মূখর পরিবেশে উপজেলার প্রতিটি কালি মন্দিরে শ্যামা পূজা (কালীপূজা) অনুষ্ঠিত হয়েছে। মন্দির ছাড়াও শ্যামাপূজা উপলক্ষে প্রতিটি সনাতনী পরিবারের সদস্যরা প্রদীপ প্রজ্বালন করে দীপাবলি উৎসব পালন করেন।