কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা যাদুরচর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহজালাল সরকার ও নাজমুল হোসেন টাইগার নামের দুই নেতার বিরুদ্ধে ভাড়াটিয়া হিসেবে জমি দখল করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। জমি দখলকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের মধ্যে শুরু হয় সংঘর্ষ। গতকাল সোমরার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের কোমরভাঙ্গী মধ্যে পাড়া সাহিদা মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওইদিন রাতে রৌমারী থানায় একটি অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী আব্দুলাহ।
সরেজমিনে গেলে ভুক্তভোগী আব্দুল্লাহ বলেন, ৩০ বছর আগে যাদুরচর ইউনিয়নের কোমরভাঙ্গী গ্রামের আয়নাল নামের এক ব্যক্তির কাছে ৮ শতক জমি বিক্রি করেন তার বাবা আব্দুল কাদের। পরে আয়নাল হক তার ছেলে চান মিয়ার কাছে ওই জমি বিক্রি করে দেন। কিন্তু ৮ শতক জমির বদলে ১৬ শতক জমি দখল করার জন্য যাদুরচর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহজালাল সরকার ও সদস্য নাজমুল হোসেন টাইগার, সামাদ, মাসুম ও খয়রাতসহ আর ১০-১২ জনকে ভাড়া করেন চান মিয়া। ভাড়াটিয়া হিসেবে যুবদল নেতা শাহাজালাল ও সদস্য নাজমুলসহ মোটরসাইকেলে এসে ওই জমিতে জোড় করে টিনের বেড়া দেওয়ার চেষ্টা করেন।
এ সময় গ্রামবাসীরা তাদের বাধা দিলে শাহজালাল ও নাজমুল দলীয় ক্ষমতার প্রভাব খাটান। এতে উত্তেজিত হয়ে তাদেরকে ধাওয়া করলে মোটরসাইকেল রেখে পালিয়ে যান ওই যুবদলের দুই নেতাসহ অন্যান্যরা ও সামাদ নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে সামাদকে উদ্ধার করেন পুলিশ।
অভিযুক্ত রৌমারীর যাদুরচর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক শাহাজালাল সরকার বলেন, ‘আমাদের অন্য একটি সালিশে যাওয়ার কথা ছিল। ঘটনাস্থলের পাশে একটি চায়ের দোকানে চা খেতে ছিলাম। ওই সময় একদল লোক এসে গ্যাঞ্জাম ও ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন। তা দেখে আমি, নাজমুল হোসেন টাইগার ও মাসুমসহ আরও অনেকে এগিয়ে যাই। পরিস্থিতি ভালো না দেখে আমার মোটরসাইকেলটি রেখে ভ্যানে করে চলে আসি।’
অভিযুক্ত রৌমারীর যাদুরচর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য নাজমুল হোসেন টাইগার বলেন, ‘উভয়পক্ষকে মীমাংসার জন্য বসার কথা ছিল।
এ জন্য আমি ওখানে গিয়েছিলাম। ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে তনি বলেন, আমি অসুস্থ ছিলাম । এ কারণে ঘটনার আগেই চলে আসছি।’ অভিযুক্ত চান মিয়া বলেন, আমি এসবের কিছুই জানি না। তবে আমার বউ এই জমি দখলের ব্যাপারে নাজমুল হোসেন টাইগারের বাবা সামাদকে বলেছেন। রৌমারী উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান পলাশ বলেন, বিষয়টি জেনেছি। খুব শিগগির দলীয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রৌমারী থানার ওসি সেলিম মালিক বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও আটক ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।