বুধবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে নীলফামারী সদর উপজেলার চড়াইখোলা ইউনিয়নের দালালের বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ওইদিন বিকেলেই আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালত তাকে নীলফামারী জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সে উপজেলার পূর্ব বোতলাগাড়ীর ডাঙ্গাপাড়া এলাকার মৃত. জবান উদ্দিন ওরফে বগা মামুদের পুত্র।
সৈয়দপুর থানা পুলিশের সুত্র জানায়, গত ২০০৭ সালে ওই আসামির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে সৈয়দপুর থানায় একটি মামলা হয়। ওই মামলায় সে সময় তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়। কয়েকমাস হাজতবাস থেকে জামিনে বেরিয়ে এসে কয়েকটি ধার্য্য তারিখে আদালতে হাজিরা দেয় সে। মামলার বিচারকার্য চলা অবস্থায় আসামি মোতালেব গড় হাজির থাকে।
পরে তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ২০২০ সালের ২১ অক্টোবর নীলফামারী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ এর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মে. আহসান তারেক তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান ও ২০ হাজার টাকার অর্থদণ্ড করেন। তার অনুপস্থিতিতে রায় প্রদানের পর আদালত সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারী করেন।
ওই রায়ের পর আদালত থেকে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা সৈয়দপুর থানায় আসে।
পরে থানা পুলিশ তাকে ধরতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। কিন্তু সে পাঁচ বছর আত্মগোপনে থাকায় ছিল ধরাছোঁয়ার বাইরে।
অবশেষে গোপন সংবাদে সৈয়দপুর থানা পুলিশ জানতে পারে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মোতালেব নীলফামারীর চড়াইখোলা এলাকায় অবস্থান করছে। কয়েকদিন আগের এমন সংবাদে থানা পুলিশ তাকে ধরতে নানা কৌশল অবলম্বন করে।
অবশেষে বুধবার সকাল থেকে থানা পুলিশের একটি দল সাদা পোশাকে নীলফামারী সদরের চড়াইখোলা ইউনিয়নের দালালের বাজারে অবস্থান নেয়। পরে তাঁর অবস্থান নিশ্চিত হয়ে বাজারের একটি দোকানের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয় পলাতক আসামি মোতালেবকে।
এ অভিযানে অংশ নেন থানার উপ পরিদর্শক শফিউর রহমান, গোপেশ চন্দ্র রায়, সহকারি উপ পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম, জয় শঙ্কর শর্মা, আবু তালেব, রাশেদ ও ফিদা হাসানসহ সঙ্গীয় ফোর্স।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো আব্দুল ওয়াদুদ সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মোতালেবকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।