পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় সীমান্ত এলাকা থেকে তিন রোহিঙ্গা তরুণীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদস্যরা। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের দর্জিপাড়া গ্রামের সীমান্ত এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। তারা প্রতারকের খপ্পরে পড়ে অবৈধ পথে ভারতে প্রবেশ করার চেষ্টা করছিল বলে জানা গেছে। আটককৃতরা হলেন, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরনার্থী শিবিরের বাসিন্দা আবুল ফয়েজের মেয়ে মাইজুমা (১৭), শফি উদ্দীনের মেয়ে শারমিন আক্তার (১৭) ও আবুল কালামের মেয়ে নুরছাফা (১৮)।
পুলিশ, বিজিবি ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতাধীন তেতুঁলিয়া উপজেলার শারিয়ালজোত বিওপি ক্যাম্পের সদস্যরা সীমান্তের মেইন পিলার ৪২১ এর কাছাকাছি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সকাল ৭টার সময় স্থানীয়দের নিয়ে দর্জিপাড়া গ্রামের দর্জিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এসময় বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান কক্সবাজারের উঁখিয়ার বাসিন্দা প্রতারক ইসমাইল হোসেন। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ওই তিন রোহিঙ্গা তরুণীকে আটক করে বিজিবি। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়। তারা রোহিঙ্গা নাগরিক এবং সবাই কক্সবাজারের শরনার্থী শিবিরের বাসিন্দা। ওই তিন রোহিঙ্গা তরুণী প্রতারক ইসমাইল হোসেনের খপ্পরে পরে সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) পঞ্চগড়ের নিয়ে আসেন। পরে সুযোগ বুঝে তাদের ভারতে পাঠানোর কথা ছিল। তবে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের আগেই তারা বিজিবির হাতে আটক হয়েছেন। বর্তমানে রোহিঙ্গা নাগরিক ওই তিন তরুণী তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে বিজিবির হেফাযতে রয়েছেন। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানায় বিজিবি।
তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফজলে রাব্বি বলেন, বিজিবি ওই তিন রোহিঙ্গা তরুণীকে আটক করে সদর ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসে। এরপর আমরা বিষয়টি জেনে ওই তরুণীদের সাথে কথা বলেছি। তাদের পরিবার সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছে। একই সাথে আমরা কক্সবাজারের শরনার্থী শিবিরেও যোগাযোগ করেছি। তারা সেখানকার বাসিন্দা বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। আমরা এখন পর্যন্ত যতটুকু নিশ্চিত হয়েছি, তারা প্রতারণার শিকার হয়েছে। এখন বিজিবিসহ উপজেলা প্রশাসন মিলে ওই তিন তরুণীকে তাদের পরিবারের কাছে তুলে দিতে সকল আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।