দুর্গাপূজার বাকি আর মাত্র কয়েক দিন, বছর ঘুরে শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা, আর এই উৎসবকে কেন্দ্র ্র করে পীরগঞ্জ ইউনিয়নের চান্দের পাড়া গ্রামে পূজা মন্ডপে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি, পীরগঞ্জ সহ বেশিরভাগ জায়গায় প্রতিমা গড়া শেষ, চলছে রঙের কাজ । পীরগঞ্জ উপজেলার ১৫ টি ই্উনিয়ন ও পৌরসভায় এ বছর ৯৭টি মন্ডপে পালিত হবে দুর্গা উৎসব। শারদীয় দুর্গাপূজাকে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ এবং মন্দির কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা।
আগামী ৮ অক্টোবর মহাষষ্ঠীতে দেবীর বোধনের মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে, ১২ অক্টোবর দশমীতে বিসর্জন ও শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শেষ হবে শারদীয় দুর্গাৎসব। এদিকে বছর ঘুরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ এই উৎসবকে ঘিরে মন্ডপে মন্ডপে বেড়েছে প্রতিমা শিল্পীদের ব্যস্ততা। অপরদিকে পূজা মন্ডপ ঘিরে সকল ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। চান্দেরপাড়ার সংশ্লিষ্ট মন্দির কমিটির সভাপতি খগেন চন্দ্র্র দেবনাথ বলেন, পঞ্জিকা মতে আগামী ৮ অক্টোবর শুরু হবে শারদীয় দুর্গাপূজা, এ দিন হবে ষষ্ঠি পূজা, আর ১২ অক্টোবর শনিবার দশমীতে চোখের জলে দেবী বির্সজনের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা, এছাড়া আমাদের চান্দেরপাড়া শারদীয়া মন্দিরের কাজ প্রায় ৭৫ % হয়েছে, অন্যান্য মন্ডপের কাজ শেষ পর্যায় ।
চান্দেরপাড়া শারদীয়া মন্দির কমিটির সভাপতি খগেন চন্দ্র দেবনাথ, সেক্রেটারি ভবেন চন্দ্র দেবনাথ ও ক্যাশিয়ার নিতাই চন্দ্র দেবনাথ জানান , হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব এই দুর্গাপূজা, আমরা ইতোমধ্যে আমাদের প্রস্তুতি দ্রুত সম্পন্ন করার চেষ্টা করছি । এখন শুধু মাত্র বাকি আনুষ্ঠানিকতা, আশা করি এবারের পূজা আনন্দ ও নিরাপদে উৎযাপন করতে পারব। পূজায় সরকারি সহায়তা আগের চেয়ে একটু বাড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, এ উপজেলায় মোট ৯৭টি মন্দিরে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে, ইতোমধ্যে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতির কাজ আশি ভাগ শেষ হয়েছে, মন্ডপগুলোতে কেউ যেন বিশৃঙ্খলা ঘটাতে না পারে সে জন্য সেনাবাহিনী পুলিশ প্রশাসন ও সাংবাদিকরা সর্বদা নজরদারি করবে। আমরা সতর্কতার সঙ্গে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি, ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে এ উৎসবে সামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছি।
পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইকবাল হাসান জানান, শারদীয় দুর্গোৎসব এর মন্দিরে প্রতিটিতে আইপি ক্যামেরা ব্যবস্থা করা হয়েছে, পীরগঞ্জ উপজেলার প্রতিটি পূজা মন্ডপে প্রশাসনের পক্ষ থেকে শতভাগ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে, এ বিষয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশ সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি আরো জানান পীরগঞ্জ উপজেলায় মোট ৯৭ টি মন্দিরে শারদীয় দুর্গোৎসব পালন হবে । প্রতিটি মন্দিরে ৬ জন আনসার, ১০ জন স্বেচ্ছাসেবক ও গ্রাম পুলিশ সার্বক্ষণিক মন্দিরের নিরাপত্তা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবেন ।