গণতান্ত্রিক স্বাধীন দেশে ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলার ঘটনা ঘটিয়ে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশেকে জঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করতে মরিয়া হয়েছে ফ্যাসিবাদের দোসররা। দেশের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে গণতন্ত্র পাহাড়া দেয়ার সুরক্ষা তৈরি করতে হবে। যে সুরক্ষার মধ্য আগামী দিনে ন্যায়পূর্ণ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠিত হবে। ছাত্র-জনতার সাথে সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছে গণ সংহতি আন্দোলন।
দেশের সুনাগরিকের মর্যাদা নিয়ে বাঁচতে হলে আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে সমুলে উৎখাত করতে হবে। ফ্যাসিবাদরা আবারও মাথা চারা দেয়ার পায়তরা করছে। তাই ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানকে ধরে রাখতে সকল বিভাজন ভুলে ঐক্যবদ্ধ শক্তির কোন বিকল্প নেই বললেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি।
সোমবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রংপুর শিল্পকলা অডিটোরিয়ামে ২৪ এর ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাঈদকে নিয়ে যারা কটাক্ষ করার চেষ্টা করবে বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান হবে স্পষ্ট। তাই ছাত্র জনতার বিপ্লবকে ম্লান করতে যারাই মরিয়া হবে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে হবে বলে জানান গণসংহতি আন্দোলনের নেতা জোনায়েদ সাকি।
স্মরণ সভায় ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে রংপুরের নিহত শহীদ পরিবার ও আহত ব্যক্তিরা উপস্থিত থেকে একে একে স্মৃতিচারণ করেন।
গণসংহতি আন্দোলনের রংপুর জেলা শাখার যুগ্ন আহবায়ক তৌহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন, রংপুর মহানগর বিএনপির আহবায়ক শামসুজ্জামান সামু, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রভাষক সিরাজাম মুনিরা, রংপুর জেলা ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার লতিফুর রহমান, রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি শাহরিয়ার সোহাগসহ রংপুরের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।