বর্ষা মৌসুম এলেই গ্রামগঞ্জে দেখা মেলে মাছ ধরার চিরচেনা মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। স্মপ্রতি এই চিরচেনা মাছ ধরার দৃশ্যের দেখা মিলেছে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মানুষ বৃষ্টিতে ভিজে চটকাজালে মাছ ধরছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যুগ যুগ ধরে গ্রামগঞ্জে ডোবা, নালা, খাল-বিলে ও ক্যানেল গুলোতে প্রচুর দেশী প্রজাতির মাছ ছিলো। দেশী প্রজাতির বিভিন্ন মাছ থাকায় প্রতিটি গ্রামগঞ্জে বর্ষাকাল শুরু হলেই মাছ ধরার উৎসব পরে যেত। কালের বির্বতণে অনেক মাছ এখন বিলুপ্তীর পথে। তবে এখন আর আগের মতো সেই দেশী প্রজাতীর মাছ না থাকলেও মাছ ধরার নেশাটি কিন্তু এখনো অনেক মানুষের আছে। তাই মাছের সংখ্যা কমে গেলেও বর্ষাকালে উপজেলায় ভারী বৃষ্টি হলেই এই মাছ ধরার উৎসবে শিশু-কিশোর, বুড়োসহ সব বয়সী মানুষ চটকা সহ বিভিন্ন ধরনের জাল দিয়ে বৃষ্টিতে ভিজে মাছ ধরে। ভারী বৃষ্টি এলো তো নানা ধরণের জাল দিয়ে উপজেলার ১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার নদী, নালা, খাল-বিলে থই থই পানিতে বিভিন্ন জাতের মাছ ধরার সেই চিরচেনা দৃশ্যটি দেখা যায়। পানিতে পেতে রেখে নির্দিষ্ট সময় পর পানি থেকে টেনে তুলে মাছ ধরা হয় বলে একে স্থানীয় ভাবে চটকা জাল বলে।
এই জালে পুঁটি, টাকি ও খলসা মাছ ওঠে। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে অনেকটা পানি বেড়েছে তাই এই পানিতেই স্থানীয়রা জাল ফেলে মাছ শিকারে ব্যস্ত সময় পার করছে। উপজেলার শীধলগ্রামের রাজু মিয়া ও মফিজ উদ্দিন জানান, ক্যানেলে আগে প্রচুর দেশী মাছ পাওয়া যেত। এখন আর আগের মতো মাছ নেই। দেশী মাছের মধ্যে আমরা মাছ ধরছি টাকি, পুঁটি, ডারকা ও খলসা।
জানা গেছে, উপজেলার রামেশ্বরপুর মাঠ থেকে একটি ক্যানেল জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলা পর্যন্ত গেছে। ক্যানেলটি রামেশ্বরপুর মাঠ থেকে ক্রমান্বয়ে ঢালু হয়ে পাঁচবিবির দিকে চলে গেছে। ফলে বর্ষা মৌসুমে এই ক্যানেলটিতে পর্যাপ্ত স্রোত বয়ে যায়। স্থানীয় মকবুল হোসেন ও রিমন জানান, এমন চিরায়ত মাছ ধরার দৃশ্য খুব বেশি দিন টিকবে না এই ছোট ক্যানেলে। স্বরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শুধু মাত্র ঘোড়াঘাট উপজেলার মধ্যে এই ক্যানেলটিতে দেড় থেকে ২ শত চটকা জালে মাছ ধরছে স্থানীয়রা।