ফাঁকা জায়গায় নেমে যাওয়ার সময় আগে ফেলে যাওয়া স্বর্ণের বিস্কুট তিনি নিজেই তুলে যাত্রীকে দেখান। নিত্য প্রতারণার কৌশল হিসেবে বেচে নেন দুই বন্ধু। এমন ঘটনার অনুসন্ধানে পুলিশ কাজ শুরু করেন। সূত্র ধরে এগোতে ‘সোনার বিস্কুট’ দেখিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে অটোচালকসহ দুই জনকে আটক করেছেন পুলিশ। আটক ব্যক্তিরা হলেন- গাইবান্ধা সদর উপজেলার জয়নাল আবেদীনের ছেলে শাহ আলম, এছাহাকের ছেলে এনায়েত। তাদের কাছ থেকে একটি নকল স্বর্ণের বিস্কুট ও একটি অটোরিকশা জব্দ করা হয়।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই দুজনকে আটক করে রংপুর মহানগর তাজহাট থানা পুলিশ। পুলিশ জানায়, শাহ আলম ও এনায়েত দুজনই বন্ধু। এনায়েত অটোচালক ও শাহ আলম সেই অটোর যাত্রী হয়ে বিভিন্ন শহরের ঘুরেন। অটোয় কোনো যাত্রী উঠলে শাহ আলম সেই যাত্রীর সামনে কাগজে মোড়ানো নকল স্বর্ণের বিস্কুট কৌশলে ফেলে দেন।
যাত্রী সেটাকে স্বর্ণ হিসেবে নিশ্চিত করলে শাহ আলম যাত্রীকে জানান, তিনি গরিব মানুষ। স্বর্ণের বিস্কুট দিয়ে কী করবে, কোথায় বিক্রি করবে। এ জন্য তিনি স্বর্ণের বিস্কুটটি যাত্রীকে কিনে নিতে বলেন। এরপর সেটি যাত্রী সর্বনিম্ন পাঁচ হাজার টাকায় কিনে নিলে টাকা নিয়ে সটকে পড়েন শাহ আলম। পরে যাত্রীকে গন্তব্য নেমে দিয়ে দুজনে এক হয়ে সেই টাকা ভাগ করে নেন। শুক্রবার সকালে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড় এলাকায় এমন ঘটনার গোপন সংবাদ পায় তাজহাট থানা পুলিশ। এরপর সেখানে অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের দুই সদস্য শাহ আলম ও এনায়েতকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
রংপুর মেট্রোপলিটন তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম সরদার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি পার্কের মোড় এলাকায় দুজন সোনার বার বিক্রি করতে এসেছে। আমরা তাদের দুজনকে আটক করার পর দেখি সেটি নকল সোনার বার। এরা দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণার সঙ্গে জড়িত। ওসি আরো বলেন, যাত্রী সেজে স্বর্ণ বলে বিক্রি করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল তারা। এ ঘটনায় একটি নকল স্বর্ণের বার, একটি অটো জব্দ করে প্রতারকদের থানায় নেয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রতারেণা আইনি অনুযায়ি মামলা করা হয়েছে।