


মা ও নবজাতক স্বাস্থ্যসেবা আরো মানসম্মত করার লক্ষ্যে রংপুর ও লালমনিরহাট জেলার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের নিয়ে ‘ফোকাসড মেন্টরশিপ অ্যাপ্রোচ’ শীর্ষক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত মঙ্গল ও বুধবার রংপুরের আরডিআরএস বাংলাদেশ ভবনের কনফারেন্স রুমে কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির অর্থায়নে সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশ-এর কারিগরি সহায়তায় ‘জননী প্রকল্প’ দুই দিনব্যাপী এ সভার কর্মশালার আয়োজন করে।
দুদিনের সভায় স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং প্রসূতি ও নবজাতকের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় প্রোটোকল ভিত্তিক মান বজায় রাখার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। অভিজ্ঞ চিকিৎসক ও মেন্টরদের তত্ত্বাবধানে ন্যাশনাল লেবার রুম প্রোটোকল অনুযায়ী চারটি বিশেষায়িত সেশনে জরুরি প্রসূতি ব্যবস্থাপনা, নবজাতক রিসাসিটেশন ও পরিচর্যা, প্রসবপূর্ব ও প্রসবোত্তর সেবা এবং নরমাল লেবার ব্যবস্থাপনা, পার্টোগ্রাফ ও একলাম্পসিয়া ম্যানেজমেন্টসহ গুরুত্বপূর্ণ সেবা সমূহের দক্ষতার উপরে জোর দেয়া হয়েছে।
সেশনসমূহে আলোচিত চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে জনবল সংকট, অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা এবং কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামের ঘাটতি রয়েছে বলে জানানো হয়। এসময় স্টেকহোল্ডাররা সেশন সংখ্যা বৃদ্ধি, নিয়মিত ফলোআপ, এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নিশ্চিত করার সুপারিশ জানিয়েছেন। সভায় রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. গওসুল আজিম চৌধুরী, রংপুর মেডিকেল কলেজের গাইনী ও অবস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. ইফফাত আরা টিউলিপ, রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য উপপরিচালক ডা. মো. ওয়াজেদ আলী, রংপুর বিভাগীয় পরিবার পরিকল্পনা পরিচালক দেওয়ান মোরশেদ কামাল ও জননী প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ডা. উজ্জ্বল কুমার রায় এবং রংপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. শাহীন সুলতানা, লালমনিরহাট জেলা সিভিল সার্জন আব্দুল হাকিমসহ স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
জননী প্রকল্প ভবিষ্যতে এই মেন্টরশিপ পদ্ধতিকে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর সঙ্গে যুক্ত করা ও নিয়মিত ফলোআপ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার পরিকল্পনা করেছে।প্রকল্পের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই মেন্টরশিপ অ্যাপ্রোচকে টেকসই ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনের সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। ভবিষ্যতে মেন্টির পারফরম্যান্স ট্র্যাকিং ও প্রোটোকলভিত্তিক সেবা নিশ্চিত করার জন্য আরও সমৃদ্ধ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের কথাও জানানো হয়।
প্রকল্পের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই মেন্টরশিপ অ্যাপ্রোচকে টেকসই ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনের সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। ভবিষ্যতে মেন্টির পারফরম্যান্স ট্র্যাকিং ও প্রোটোকলভিত্তিক সেবা নিশ্চিত করার জন্য আরও সমৃদ্ধ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের কথাও জানানো হয়।