চাঁদপুরের হরিণা ফেরিঘাটের কাছে সারবোঝাই এমভি আল-বাখেরা জাহাজে সাতজন হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া জাহাজের লস্কর আকাশ মণ্ডল ওরফে ইরফানকে সাত দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চাঁদপুর নৌপুলিশের পরিদর্শক মো. কালাম খা চাঁদপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ফারহান সাদিকের আদালতে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। তবে আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এপিপি (অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর) অ্যাডভোকেট শরীফ মাহমুদ সায়েম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। জামিন শুনানিতে এপিপি শরীফ মাহমুদ সায়েম, আইনজীবী মাসুদ প্রধানীয়া, ইয়াসিন আরাফাত ইকরাম, শাহজাহান খান, শামিম হোসেন, মিল্টন এবং তোফায়েল উপস্থিত ছিলেন।
এ মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ইরফানের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে, এবং তার রিমান্ডে নেয়ার মাধ্যমে ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করা হবে। এর আগে, সোমবার চাঁদপুরের মেঘনা নদীর হাইমচর উপজেলার ইশানবালা এলাকায় এমভি আল-বাখেরা জাহাজ থেকে ৫ জনের লাশ এবং ৩ জন আহতকে উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ২ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এমভি আল-বাখেরা পণ্যবাহী জাহাজটি গত রোববার সকালে চট্টগ্রামের কাফকো সার কারখানার ঘাট থেকে যাত্রা করে। এরপর কোম্পানির মালিক শিপন বাখেরা জাহাজে ফোন করলেও কাউকে পাননি। এতে মালিকপক্ষের সন্দেহ হয়। জাহাজের অবস্থান ও পরিস্থিতি জানার জন্য তারা মেসার্স বৃষ্টি এন্টারপ্রাইজের অন্য জাহাজ মুগনি-৩ থেকে যোগাযোগ করতে বলেন। মুগনি-৩ জাহাজটি মাওয়া থেকে ঘটনাস্থল দিয়ে যাওয়ার সময় বাখেরা জাহাজটি দেখতে পায়। তারা দেখেন, জাহাজের লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। তখন তারা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দিয়ে সাহায্য চান। ফোন পাওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত ও আহতদের উদ্ধার করেন। যখন তারা জাহাজে পৌঁছান, তখন জাহাজটির ইঞ্জিন বন্ধ ছিল।