
রেলওয়ের ১৩০টি টিকিটসহ নৌবাহিনীর এক সদস্যকে ঠাকুরগাঁও রেলওয়ে স্টেশন থেকে আটক করেছে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী। আটককৃত ব্যক্তির নাম সাজেদুর রহমান (২৮)। তিনি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একজন ল্যান্স করপোরাল এবং খুলনার বিএনএস পদ্মা ইউনিটে কর্মরত আছেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে ঠাকুরগাঁও রেলস্টেশনে দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট পরীক্ষার সময় তাকে আটক করা হয়।
রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী জানায়, সাজেদুর রহমান ঢাকা থেকে দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনে ঠাকুরগাঁও আসেন। স্টেশনে টিকিট পরীক্ষার সময় তার কাছে থাকা টিকিটে ২২টি আসন বরাদ্দ দেখা যায় এবং সেখানে ‘সরকারি বাহিনীর টিকিট, বিক্রয় নিষেধ’ লেখা ছিল। এতে সন্দেহ হলে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে তার ব্যাগ তল্লাশি করে ২১ থেকে ২৫ মার্চের বিভিন্ন তারিখের মোট ১০৫টি টিকিট উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ২১ ও ২২ মার্চের দুটি টিকিট ছিল মূল টিকিট এবং ২৫ মার্চের ২৫টি টিকিটের অনলাইন কপি ছিল।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাজেদুর রহমান টিকিট কালোবাজারির কথা স্বীকার করেন। তিনি জানান, নৌবাহিনীর সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত ‘ওয়ারেন্টের টিকিট’ নামে পরিচিত টিকিট তিনি অবৈধভাবে সংগ্রহ করেছেন। ফেসবুকে নয়ন নামের এক টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে তার পরিচয় হয় এবং এই টিকিটগুলো নয়নের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল।
পার্বতীপুর রেলওয়ে নিরাপত্তা পরিদর্শক হাসান শিহাবুল ইসলাম জানান, সাজেদুর রহমানের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে রেলওয়ে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তার কাছ থেকে তিনটি মোবাইল ফোন ও বিভিন্ন কোম্পানির ১৪টি সিম কার্ড জব্দ করা হয়েছে। মোবাইল ফোনে টিকিট বিক্রির কথোপকথনের রেকর্ড পাওয়া গেছে এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি অপরাধ স্বীকার করেছেন। রেলওয়ে পুলিশ ও নৌবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে তার কাছ থেকে একটি মুচলেকা নিয়ে আমরা নৌবাহিনীর কর্মকর্তার দের কাছে শুক্রবার বিকালে (২১ মার্চ) হস্তান্তর করি।
ঠাকুরগাঁও সহকারী স্টেশন মাস্টার আবু তারেক জানান, গতকালকে তাকে আমরা ঠাকুরগাঁও আটক করি। পরবর্তীতে আমরা তাকে দিনাজপুর রেলওয়ে থানার আন্ডারে হস্তান্তর করি। টিকিট কালোবাজারি রোধে নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে এবং এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Related