অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ পানাপুকুর পূর্বপাড়া (বড়বিল) এলাকার রাজ নারায়ন চন্দ্র রায় স্থানীয় চৌধুরীর হাট বাজারে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এজেন্ট ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। তার প্রতিবেশী সুশীল চন্দ্র রায় চার বছর আগে দুই মাসের মধ্যে ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার কাছ থেকে দুই লাখ টাকা ধার নেন এবং ১৫০ টাকার স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করেন। কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হলেও তিনি টাকা পরিশোধ না করে বিভিন্ন অজুহাত দিতে থাকেন।
অভিযোগে বলা হয়, ২৬ মার্চ সকাল ১১টার দিকে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চলাকালে অভিযুক্ত সুশীল চন্দ্র রায়ের সঙ্গে যোগসাজশে শরিফা বেগম, ছকিনা বেগম, রোখছেনা বেগম ও কান্দুরী বেগম তার দোকানে এসে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে তারা তাকে দোকান থেকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাঠিপেটা করেন। এতে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয় এবং তার শার্ট ছিঁড়ে যায়।
এসময় অভিযুক্তরা তার দোকানের ক্যাশ বাক্স থেকে ৪২,৬২০ টাকা এবং তার পকেট থেকে ৪০,০০০ টাকা লুট করে নেয় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী। তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে সবুজ মিয়া নামে এক ব্যক্তি তাকে বাঁচাতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়।
এছাড়া অভিযুক্তরা দোকানের মালামাল ভাঙচুর করে প্রায় ১০,০০০ টাকার ক্ষতি করে এবং প্রকাশ্যে জীবননাশের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ করা হয়। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় রাজ নারায়ন চন্দ্র রায়কে উদ্ধার করে গংগাচড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
এ ঘটনায় রাজ নারায়ন চন্দ্র রায় গঙ্গাচড়া মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।