রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের রহিমাপুর জয়বাংলা নদীরপাড় গ্রামে সরকারি রাস্তার আম গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রহিমাপুর জয়বাংলা নদীরপাড় গ্রামের এমাজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সকালে রাস্তার আম গাছ কাটার বিষয়টি জরুরী সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে প্রশাসন জানতে পারেন। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে কুর্শা ইউনিয়নের সহকারি ভূমি কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম ওই গাছের ডালপালা ও মূলকান্ড হেফাজতে নেন।
জানা গেছে, সরকারি রাস্তার পাশের জমির মালিক মুলে এমাজ উদ্দিন তার রোপনকৃত গাছ বিক্রি করেছেন। স্থানীয়রা বাঁধা দিলেও তাদের এ বাঁধা না মেনে এরই মধ্যে আম গাছটি কেটে ফেলেন স্থানীয় গাছের ক্রেতা (পাইকার) রশিদুল ইসলাম তার লোক দিয়ে। গাছ কাটার প্রমাণ লোপাট করতে ওই গাছটির গোড়াও তুলে ফেলা হয়েছে। গাছটির মূল্য প্রায় বিশ হাজার টাকা হবে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। অপরদিকে এমাজ উদ্দিনের মেয়ে বিউটি বেগম দাবি করে বলেন, এই আম গাছটি আমাদের জমিতে রোপণ করেছি, আমার ঘরের দেওয়াল রাস্তার উপর আছে কিন্তু গাছ রাস্তার উপরে নেই।
এমাজ উদ্দিন জানান, আমার মেয়ের সিলেটে বিয়ে হয়েছে, বেশকিছু দিন ধরে আমার বাড়িতে আছেন। এখানে জায়গা কম, তাই মাটির ঘর ভেঙ্গে তাকে একটি পাকা ঘর করে দেয়ার জন্য গাছটি কাটা হয়েছে।কুর্শা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, আমি খবর পাওয়া মাত্র অফিস থেকে লোক পাঠিয়ে গাছ কাটা বন্ধ করেছি। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবগত করেছি। ওই গাছের ডালপালা ও মূলকান্ড হেফাজতে রাখা হয়েছে আগামী রোববার সরকারি সার্ভেয়ার দিয়ে মেপে সঠিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইউপি সদস্য মোনায়েম খাঁন বলেন, সরকারি রাস্তার পাশে তারা গাছ লাগিয়েছেন। তাই পরিবারের সবার সিদ্ধান্তে আম গাছটি কেটেছেন। গ্রামের রাস্তার পাশে অনেক গাছই অনেকে কেটে নিয়েছে। এ জন্য অনুমতি নিতে হয়, এটা তাদের জানা ছিল না।
তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রুবেল রানা বলেন, সরকারি রাস্তার পাশ থেকে গাছ কাটার বিষয়ে জরুরী সেবা ৯৯৯ হতে অভিযোগ পেয়েছি। তাৎক্ষনিকভাবে ভূমি অফিসের লোকজন পাঠিয়ে খোঁজখবর নিয়েছি। ঘটনার সত্যত্বা পেলে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।