ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলার হোসেনগাঁও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতিকে বুধবার ভোরে পীরগঞ্জ গড়গা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মতিউর রহমান হোসেনগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদেও রয়েছেন। তার মুক্তির দাবীতে বুধবার সকাল থেকেই চেয়ারম্যানের গ্রামের এলাকার ও আ’লীগের কিছু নেতাকর্মি থানার ফটকে দাড়িয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক চলাচল বন্ধ করে রাখেন। পরে সাড়ে ১১টায় পুলিশ তাদের লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এর আগে গত মঙ্গলবার হোসেনগাঁও ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি মনতাজ আলীকে হোসেনগাঁও ইউনিয়নের বারোঘরিয়া নামক স্থানে মোটরসাইকেল পথরোধ করে মতিউর রহমান মতিসহ তার সহযোগী আনোয়ার হোসেন ও মনির মিলে হামলা চালিয়ে নগদ ১ লাখ টাকা ও হোন্ডা লিভো গাড়ী ছিনতায় করে। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে চেয়ারম্যান ও তার সহযোগিরা সেখান থেকে সরে পড়ে। স্থানীয়রা মনতাজ আলীকে অসুস্থ অবস্থায় রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। বিষয়টি নিয়ে বেশ উত্তেজনা সৃষ্টি হলে মনতাজ আলী বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতেই ইউপি চেয়ারম্যান মতিউর রহমান ও হোসেনগাঁও ইউনিয়নের বিলপাহাড় গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে আনোয়ার ও কলিগাঁও গ্রামের ওবাইদুর রহমানের ছেলে মনিরের নাম উল্লেখ্য করে একটি ছিনতায় মামলা রাণীশংকৈল থানায় দায়ের করেন।
হোসেনগাঁও ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি মনতাজ আলী বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান মতি আচমকায় তাকে হামলা করে টাকা মোটরসাইকেল ছিনতায় করে নেয়। তিনি আইনঅনুযায়ী তার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানান।
এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান মতিউর রহমান গ্রেফতার হওয়ার খবর প্রকাশ হলে তার গ্রাম নয়ানপুর এলাকার শতাধিক বাসিন্দা ও কিছু আ’লীগের সমর্থক থানা চত্বরে এসে তার মুক্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এবং সড়ক দিয়ে গাড়ী চলাচল বন্ধ করে দেন। মিছিলটি বেলা ১১টা প্রযর্ন্ত অবস্থান করলে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাফিউল মাজলুবিন রহমান অবস্থানকারীদের হ্যান্ড মাইকের মাধ্যমে বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তারা কোনভাবেই না মানতে চাইলে। বিশৃংখলা এড়াতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেন।ছত্রভঙ্গ করার সময় দুজনকে আটক করেন পুলিশ।
রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আরশেদুল হক বলেন, আইনের বাইরে অযোক্তিক কোন দাবী কেউ করলে তো তা মানা যায় না। ইউনিয়ন চেয়ারম্যন মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে থানায় ছিনতায় মামলা হয়েছে। তাই তাকে আইনের আওতায় নেওয়া হয়েছে।ওসি জানান,কিছু উৎশৃঙ্খল মানুষ সকাল থেকেই থানার গেটের সামনে অবস্থান নেয়। পরে ইউএনও মহোদয়ের নির্দেশে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। ওসি আরো জানান, ইউপি চেয়ারম্যানকে ছিনতায় মামলায় ঠাকুরগাঁও আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।