


রংপুরের পীরগঞ্জে আগাম জাতের আমন ধান চাষ করে লাভবান হচ্ছেন চাষীরা। ইতোমধ্যেই এ ধান কর্তনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে কৃষকেরা। ফলনও আশানুরূপ হয়েছে। ধান ও কাড়ির দুটোরই ভাল দাম পাওয়ায় লাভবান হচ্ছে চাষিরা। আগামীতে আগাম জাতের আমন ধানের চাষ বৃদ্ধি পাবে।
এ চিত্র পীরগঞ্জের ১৫ টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার বিভিন্ন গ্রামের কৃষকের। মাঠজুড়ে আগাম জাতের পাকা ধান বাতাসে যেমন দোল খাচ্ছে কৃষকদের মাঝেও অনুরূপ উচ্ছ্বাস বইছে। পীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি রোপা আমন মৌসুমে পীরগঞ্জে ২৫ হাজার ৫ শত ৩৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬ হাজার ২শত ২৫ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের আমন ধানের চাষ হয়েছে।
ব্রি ধান ৭১, ব্রি ধান ৭৫, বিনা ধান ১৭, বিনা ধান ৭, ব্রি ধান ৮৭ এবং হাইব্রিড সহ ২০ জাতের আগাম ধান অন্তুর্ভুক্ত । এ দিকে অনুকূল আবহাওয়ার উপজেলার ধান চাষি কৃষক জয়পুর গ্রামের মেহেদুল মিয়া, তসের মিয়া, মিঠিপুর গ্রামের আমজাদ হোসেন, হোসেনপুর গ্রামের তাহের মিয়ার মতে তারা প্রতিবছর আগাম জাতের ধানের চাষ করে থাকেন। বৃষ্টির পানির অপেক্ষায় না থেকে শুরুতেই সেচ পাম্পের পানি সেচ দিয়ে এই ধানের চাষ করেন। এতে আগাম ধান উৎপাদনের কারনে ধান কর্তনের সময় শ্রমিকের সংকট হয়না। গো-খাদ্য খড় ব্যবসায়ীরাও জমি থেকে ধান কাটা মারা করে ঘরে উঠিয়ে দেয়। ফলে খরচ অনেক কম হয়।
এছাড়া নতুন ধানের চালের বাজারেও অনেক চাহিদা রয়েছে। ধান কর্তনের পর উক্ত জমিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে তেলজাতীয় ফসলের চাষও করা সম্ভব । এ পরিস্থিতিতে বর্তমানে কৃষকদের মাঝে এ ধান চাষের ব্যাপক চাহিদা বাড়ছে। আগাম আমন ধান চাষি ফতেপুরের মোস্তফা জামান জানান আগাম আমন চাষ করে তুলনামূলকভাবে ধানের চেয়ে কাড়ির দাম বেশী হওয়ায় এ ধান চাষ করে অধিক লাভ হচ্ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন মিয়া বলেন, আগাম ধান চাষের শুরু থেকেই অনুকূল আবহাওয়ার কারণে এ ধান উৎপাদনে কৃষকের খরচ কম হয়েছে । এ ছাড়া কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের সকল উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা কৃষকদের মাঝে বীজ সার প্রণোদনাসহ বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দিয়ে চাষিদেরকে সহায়তা করা হয়েছে।