


কুড়িগ্রামের চিলমারীতে আগাম শীতের কারণে ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। আক্রান্তের মধ্যে বেশির ভাগই হচ্ছে শিশু। চিকিৎসকরা বলছেন, শীতজনিত রোগ থেকে সুরক্ষা পেতে গরম পোষাক পরিধান করা, কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করা এছাড়াও ঠান্ডা আবহাওয়ায় বাইরে গেলে শরীর উষ্ণ রাখার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪৪ জন রোগী। এরমধ্যে দেখা গেছে শিশুর সংখ্যাই বেশি। তথ্যমতে, হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রায় দিনই ২ শতাধিক রোগী বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়াও শুধুমাত্র পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত শিশু একদিনের আইএমসিআই কর্ণার হতে ঠান্ডা জনিত রোগের সেবা নিয়েছেন প্রায় ৩৫ জন।
আবহাওয়া ও জলবায়ুর পরিবর্তনে এমৌসুমে নিদিষ্ট সময়ের আগে শীতের আগমন ঘটছে এবং শীত অনুভূতি হচ্ছে। এই সময়ে বিশেষ করে শিশুরা জ্বর, ডাইরিয়া ও নিউমোনিয়া রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। হাসপাতালে ভর্তি রোগী শিশু নুর মোস্তাফার মা নারগিস বেগম জানান, আমার ছেলের হঠাৎ করে জ্বর ও শাসকষ্ট দেখা দিয়েছে। ছেলেকে নিয়ে দুই দিন যাবত হাসপাতালে আছি। তবে ঠান্ডা লাগার কারণে শাসকষ্ট একটু বেশি হচ্ছে। হাসপাতাল থেকে দেয়া ঔষধ ও পরামর্শ মোতাবেক চলছি। পাত্রখাতা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা তাসলিমা আক্তার বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে জ্বরে ভুগছি আজকে হাসপাতালে আসলাম। ডাক্তার রক্ত পরিক্ষা করতে বলেছে।
চিকিৎসকরা বলেন, নবজাতক-শিশুদের সুরক্ষায় করণীয় যখন অল্প সর্দি কাশি হয় তখন ঘরোয়াভাবে কিছু প্রতিকার যেমন নাকটা ভালো করে পরিষ্কার করা, বাচ্চাদের একটু উষ্ণ রাখা, বদ্ধ পরিবেশে না রেখে একটু খোলামেলা জায়গায় রাখা শ্রেয়। কিন্তু যখন অবস্থা খারাপের দিকে যাবে, বাচ্চার শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছে, বাচ্চা খেতে পারবে না- নিউমোনিয়ার দিকে ধাবিত হবে তখন দ্রুত চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হতে হবে।
চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আবু রায়হান জানান, শীতকালের কারণে এখন ঠান্ডাজনিত নিউমোনিয়া জ্বর এরমক রোগী পাচ্ছি। আর যাদের আগে থেকে এজমা হাপানি আছে তাদের সমস্যা গুলো বেশি দেখা দিয়েছে। এই সময়ে যত টুকু সম্ভব ঠান্ডা থেকে দূরে থাকতে হবে। বাহিরে বের হলে ভালো গরম পোষাক পড়তে হবে এবং চেষ্টা করতে হবে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করা পরিহার করতে হবে।