


শীতের শুরুতে আমন ধান ঘরে তোলাই যেন বলে দেয় কৃষকদের নবান্ন উৎসব। প্রাচীনকাল থেকে বাংলার ঐতিহ্যকে টিকে রেখেছিলো উত্তরঞ্চলের চাষিরা। প্রতিবছর অগ্রহায়ণ মাস এলেই চাষিরা বিভিন্ন রঙ্গে ঢংকে নাচ গান আর পিঠাপুলির মধ্যদিয়ে উৎযাপন করে নবান্ন উৎসব। কালের বিবর্তনে সেটি এখন প্রায় বিলুপ্তর পথে। উৎসবটি আবারো পূণ্য জীবিত করতে সারাবাংলা কৃষক সোসাইটি ( সংগঠনটি ) কৃষকদের নিয়ে বিভিন্ন অঞ্চলে নবান্ন উৎসব পালন করেছে।
রবিবার ( ১৬ নভেম্বর ) দুপুরে রংপুরের রাজেন্দ্রপুর এলাকায় বাসিন্দারা এবং সারাবাংলা কৃষক সোসাইটির সদস্য ও কৃষকরা নতুন জামা কাপড় পরে হাতে নবান্নর মোটা অক্ষরে লেখা ছবি নিয়ে পাড়া মহল্লা ঘুরে নবান্ন উৎসব গ্রামীণ ঐতিহ্যকে টিকে রাখতে বেতিক্রম এমন চিত্র তুলে ধরেন।
পরে আলোচনা অনুষ্ঠানে সারা বাংলা কৃষক সোসাইটির ( সংগঠন ) সদস্যরা কৃষকদের বলেন,নবান্ন উৎসব সব দুঃখকষ্ট ভুলিয়ে দেয়। প্রান্তিক কিষান-কিষানির হাসিকান্নার অবসান ঘটিয়ে অগ্রহায়ণের নতুন আমন ধান ঘরে ওঠানোর কাজের মাঝে খুঁজে পায় অপার আনন্দ। গ্রাম বাংলায় নতুন এক আবহের সৃষ্টি হয়। নবান্ন উৎসবের সঙ্গে মিশে আছে বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্য আর সংস্কৃতি। প্রাচীনকাল থেকেই ধর্মবর্ণনির্বিশেষে নবান্ন কেন্দ্র করে বাঙালি উৎসবে মেতে ওঠে।
সদস্যরা আরও বলেন, আমাদের দেশে বহুপ্রচলিত উৎসবটি হারিয়ে যেতে বসেছে আনন্দ উল্লাস কমে যাওয়ায় মাদকের দিকে ধাবিত হচ্ছে তরুণ প্রজন্মেরা। তাই নবান্ন উৎসব পালনের মধ্যদিয়ে ফিরে পাবো সেই প্রাচীন ঐতিহ্যকে।
নবান্ন উৎসব অনুষ্ঠানে অংশ নেন,এফ এ ওর প্রতিনিধি, সারা বাংলা কৃষক সোসাইটির প্রতিনিধি দল, কৃষি কর্মকর্তা,প্রশাসনিক কর্মকর্তা,ও সুশীল সমাজের গন্যমান্ন ব্যক্তিবর্গ সহ আরো অনেকে। অগ্রহায়ণ মাসের নবান্ন উৎসবটি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাবে এবং বহু প্রচলিত প্রাচিনকালের ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে পরামর্শ প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ সংগঠনের।
সারা বাংলা কৃষক সোসাইটির ( সংগঠন ) কার্যক্রম তুলে ধরেন। সেই সাথে আগামী দিনের পথচলা ও বেগমান করতে সকল সদস্যের সহযোগিতা কামনা করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ওবাইদুল হক। শেষে কৃষকদের খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পিঠাপুলির মধ্যদিয়ে নবান্ন উৎসব পালন করেন।