কিশোরগঞ্জ উপজেলার প্রতিটি( উঁচু ডাংগা) গ্রাম এলাকায় আগাম ধানকাটার পর ওই জমিতে আগাম আলুসহ শীতকালিন রকমারী রবিশস্য চাষে চলছে ব্যাপক প্রস্ততি।জমির উর্বরতা বাড়াতে ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ কোদালের কাজ বাজ্যিক গোবর সার লেয়ার ও বয়লারের মল রাসায়নিক জৈব সার প্রয়োগের মাধ্যমে আগামি সপ্তাহের মধ্যে আগাম আলু রোপণ করবেন চাষিরা। অন্যান্য রবিশস্য চারা রোপনের শুরু থেকে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় যথা সময়ে ভারী থেকে হালকা বৃষ্টিপাত হওয়ায় বিগত বছরের তুলনায় এবারে ফলন ছাড়িয়েছে লক্ষ্যমাত্রা।
কৃষি প্রণোদনার আওতায় উচ্চ ফলনশীল কম সময়ে উৎপাদিত ব্রি-৭১,৭৫,৮৭,৯৪,৯৮ সহ হাইব্রিড ও চায়না জাতের ধানের ভাল ফলন পেয়ে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। চলতি মৌসুমে ৪ হাজার ৮২০ হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধাণ করা হয়েছে।
নিতাই ইউনিয়নের বাড়ি মধুপুর গ্রামের চাষী জুয়েল ইসলাম বলেন, এ বছর ৪ বিঘা জমিতে চায়না জাতের ধান চাষ করেছি। বিঘায় ফলন হয়েছে ২৩/২৫মণ। প্রতিমন ধানবিক্রি করে ৮শ টাকার উপরে দাম পেয়েছি । প্রতি বিঘা জমির খড় বিক্রি করেছি প্রায় ৪হাজার টাকা।এতে ধান ও খড় বিক্রি করে মোটামুটি ভালোই লাভবান হয়েছি।
পুটিমারী তমালতলা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ৫ বিঘা জমিতে চায়না জাতের ধান চাষ করেছি। এক সময় আগাম আলু চাষের জন্য জমি ফেলে রাখতে হত এখন আগাম চায়না ও হাইব্রিড জাতের ধান আসায় জমি ফেলে রাখা লাগেনা ভুট্টা ও ধানের পর আগাম আলু চাষ করলে আলুর ফলন ও দাম ভালো পাওয়া যায়।
কিশোরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লোকমান আলম বলেন, এ উপজেলায় ধানসহ আগাম আলু চাষে রোল মডেল। বিশেষ করে জেলার তুলনায় আগাম আলু উৎপাদনে কিশোরগঞ্জ উপজেলা প্রথম আগাম ধান চাষ করে কৃষক লাভবান হওয়ার পাশাপাশি অগ্রিম ফসল ঘরে উঠায় খাদ্যনিরাপত্তা বৃদ্ধি পেয়েছে। ধান কাটার পর যথা সময়ে আগাম আলু চাষ করে কৃষক অধিক লাভবান হয়।