দেশের বাজারে ডিম এবং মুরগির বাচ্চার দাম বাড়িয়ে গত ২০ দিনে ২৮০ কোটি টাকা ভোক্তাদের পকেট থেকে হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। শনিবার (৫ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এমন অভিযোগ করেন সংগঠনটির সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে অভিযোগ করে বলা হয়, বাজারে প্রতিটি ডিমে ২ টাকা করে বেশি নেওয়া হচ্ছে। ফলে প্রতিদিন ৪ কোটি ডিমে ৮ কোটি টাকা বেশি লাভ করা হচ্ছে। এভাবে গত ২০ দিনে ১৬০ কোটি টাকা ভোক্তাদের পকেট থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। আবার প্রতিটি মুরগির বাচ্চা গত ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দাম ছিল ৩০-৩৫ টাকা। কিন্ত ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে একই বাচ্চা বিক্রয় হচ্ছে ৪০-৫৬ টাকায়। আর ডিমের মুরগির বাচ্চা বিক্রয় হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। প্রতিদিন সব ধরনের ৩০ লাখ মুরগির বাচ্চা উৎপাদন হয়। প্রতিটি বাচ্চায় যদি ২০ টাকা বেশি ধরা হয়, প্রতিদিন ৬ কোটি টাকা বেশি আয় হয়। ফলে গত ২০ দিনে প্রান্তিক খামারিদের সঙ্গে প্রতারণা করে কোম্পানিগুলো ১২০ কোটি টাকা অতিরিক্ত মুনাফা করছে। সব মিলিয়ে ২৮০ কোটি টাকা লুট করা হয়েছে গত ২০ দিনে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রান্তিক খামারি ডিম এবং মুরগি উৎপাদন করে, কিন্তু দাম নির্ধারণ করতে পারে না। দাম নির্ধারণ করে করপোরেট গ্রুপ ও তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতি। তাদের সুবিধামতো যে দাম নির্ধারণ করে সে দামে প্রান্তিক খামারিদের ডিম, মুরগি বিক্রয় করতে হয়। যখন দাম বাড়িয়ে দেয় তখন খামারি ন্যায্য মূল্য পায়। যখন কমিয়ে দেয় তখন উৎপাদন খরচ থেকে কম দামে বিক্রয় করে লস হওয়ার কারণে উৎপাদন থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়। ডিম-মুরগির বাজারে অস্থিরতার কারণ করপোরেট গ্রুপ ও তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ীদের আধিপত্য বিস্তার করে। এ সিন্ডিকেট বারবার বাজারে সিন্ডিকেট করে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে নিলেও তাদের শাস্তি না হওয়ায় বাজারে অস্থিরতা বেড়েই চলছে।