কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে মসজিদে নামাজরত অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন এক মুসুল্লী। মৃত্যু মুসুল্লীর নাম আছর উদ্দিন। তিনি উপজেলার কেদার ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের মৃত গুল মোহাম্মদের সন্তান।
মৃত্য আছর উদ্দিনের চাচাতো ভাই নূরুন্নবী সরকার জানান, শুক্রবার ভোরে ফজরের নামজ আদায় করতে বাড়ির পাশে কচাকাটা দাখিল মাদ্রাসা মসজিতে যান তিনি। মসজিতে নফল নামাজ আদায় করা অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। মৃত্যুকালে তার ৬ সন্তান ও স্ত্রী রেখে যান তিনি।
তিনি আরোও জানান, আছর উদ্দিন অত্যান্ত দরিদ্র পরিবারের সন্তান। তার আয় রোজগারে তার পরিবার চলতো। তার মৃত্যুতে পরিবারটি অথৈ সাগড়ে পড়ে গেল।
এলাকাবাসী জানান, আছর উদ্দিন ভালো লোক ছিলেন এবং প্রতিবাদীও ছিলেন। তিনি নামাজ কাজা করতেন না। দীনের পথে ছিলেন তিনি। নামাজরত অবস্থায় মসজিদের ভিতরে মৃত্যু সবার ভাগ্যে জোটে না।
স্থানীয় বিএনপি নেতা ও সমাজ সেবক আনিছুর রহমান তোলা ব্যাপারী জানান, আছর উদ্দিন আমার আত্বীয়। প্রতিদিন আমরা একসাথেই ফজরের নামাজ কচাকাটা বাসস্টান্ট মসজিদে পড়ি। আজ সে দাখিল মাদ্রাসা মসজিদে নামাজ পড়তে যায়। ফজরের নামাজ শেষ না হতেই ফোন আসে আছর উদ্দিন মসজিদেই মারা গেছে। সকাল ১১টায় তাকে কেন্দ্রিয় কবরস্থানে দাফন করা হয়। তার পরিবার অত্যান্ত গরীব। তার পরিবারের প্রতি সহৃদ ব্যাক্তিদের সহযোগীতার কামনা করেন তিনি।
ইসলামী চিন্তাবিদ গোলেরহাট ফাজিল (বিএ) মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মওলানা মোহাম্মদ হানিফ উদ্দিন জানান, সবাইকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। আল্লাহপাক কখন কার মৃত্যু কোথায় লিখে রেখেছেন কেউ তা জানেনা। তবে শুক্রবারে ফজররের নামাজ পড়ারত অবস্থায় আছর উদ্দিনের মৃত্য হয়েছে। আমার মনে হয় তার ভাগ্যটাই ভালো এমন মৃত্যু সবার হয় না। আল্লাহ তাকে বেসত নসিব করুক।