আবার আগাম জাতের ধান কাটা মাড়াই শেষে এই জমিতে আগাম জাতের আলু ও ভুট্টা রোপন করবেন কৃষক। জমিতে তিন থেকে চারটি ফসল হওয়ায় আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছে কৃষকরা। আগাম জাতের ধান রয়েছে হাইব্রিড, বিনা-১৭, বিনা-২০, বিএডিসি সহ নানা জাতের ধান। ঘোড়াঘাট উপজেলার ৩নং সিংড়া ইউনিয়নের শীধলগ্রাম, রামেশ্বরপুর, ভর্নাপাড়া, ঋষিঘাট ও বুলাকীপুর ইউনিয়নের বেগুনবাড়ী, বলগাড়ী, কৃষ্ণরামপুর সহ বিভিন্ন গ্রাম গুলোতে আগাম জাতের ধান উৎপন্ন করা হয়।
কারণ এই এলাকা গুলোতে আগাম ধান কাটার পর বেশিভাগ জমিতে আগাম আলু চাষ করা হয়। পাশাপাশি ভুট্টাও চাষ করা হয়। তবে এসব এলাকাতে বিনা-১৭ ধানটি বেশি চাষ করা হয়ে থাকে।
ঘোড়াঘাট উপজেলার পাটশাও মাঠে দেখা গেছে কেউ ধান কাটছে, কেউ আবার ধান কেটে কাধে করে জমি থেকে রাস্তায় তুলছে আবার শ্রমিক দ্বারা মেশিনের মাধ্যমে ধান মাড়াই করছে। অনেকে ধান কাটার পর আগাম আলু সহ শীত কালীন রবি শষ্য চাষের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মাঠে মাঠে কিষান-কিষানীদের ব্যস্ততা বেড়েছে।
ধানের পাশাপাশি গো খাদ্যের জন্য কাঁচা খড়ের ভালো ব্যবসা চলছে। চাহিদা থাকায় মাঠে মাঠে ধানের কাঁচা খড় কেনার জন্য মৌসুমি খড় ব্যবসায়ীরা হুমড়ি খেয়ে পরেছেন। ধান কাটা মাড়াই শেষে তারা খড় কিনে বাজারে বিক্রি করে ভালো লাভবান হচ্ছে। কৃষক খড় বিক্রি করে কিছুটা চাষের খরচ তুলছেন। বাজারে ধানের ধামের সঙ্গে খড়ের উচ্চ মূল্য পেয়ে বাড়তি আয়ের মুখ দেখছেন ক্ষুদ্র-প্রান্তিক কৃষক।
এ বাড়তি আয়ের আলুসহ অন্যান্য রবি ফসল চাষে খরচ মেটাবেন তারা। কৃষক মোজাম্মেল হক বলেন, এ বছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় তার তিন বিঘা জমিতে আগাম জাতের ধান চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন। প্রতি ৩৩ শতকে বিঘায় ১৫ থেকে ১৬ মোন ধান পাওয়া যাচ্ছে। যা বাজারে ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা মূল্যে বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ রফিকুজ্জামান জানান, চলতি মৌসুমে ঘোড়াঘাট উপজেলায় ১১ হাজার ৫ শত হেক্টর জমিতে আমন চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১৫% আগাম জাতের ধান চাষ হয়েছে।