বিভাগীয় শহর রংপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক সকালের বাণী’র প্রথম বছর পেরিয়ে দ্বিতীয় বর্ষে পদার্পণে নেয়া মাসব্যাপি গৃহিত কর্মসূচির শনিবার ছিল সমাপনী। রংপুরের তারাগঞ্জে দুপুরে উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে আলোচনা সভা, কেককাটা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
দৈনিক সকালের বাণী পাঠক ফোরাম আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুবেল রানা। এসময় বক্তৃতায় তিনি বলেন, সকালের বাণী তরুন প্রজন্মের সাংবাদিকতায় এক ধাপ এগিয়ে। নতুন বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে তারুণ্যের স্বপ্নকে প্রাধান্য দিয়ে সকালের বাণী বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ অব্যাহত রাখবে, এটা পাঠক হিসাবে আমাদের প্রত্যাশা। বর্তমানে সমাজের বিভিন্ন সমস্যাগুলো তুলে ধরে সমাজ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
সংবাদপত্রকে সমাজের দর্পন হিসেবে নিতে হবে। স্থানীয় গণমাধ্যমের মধ্যে সকালের বাণীর সংবাদ পরিবেশনা ও সাজসজ্জা ব্যতিক্রম।
অনুষ্ঠানে তারাগঞ্জ কারিগরি ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ও পাঠক ফোরামের সভাপতি আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি রংপুর জেলা আহবায়ক কমিটির সদস্য মতিয়ার রহমান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী যুব বিভাগের সাবেক উপজেলা সভাপতি ও সয়ার ইউনিয়ন সভাপতি কাজী শামসুল হুদা, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কেএম ইফতেফারুল ইসলাম, তারাগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাঈদুল ইসলাম, বনিক সমিতির সাবেক সভাপতি জয়নাল আবেদীন আফান, বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী একরামুল হক। সঞ্চালনা করেন স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মমিনুর রহমান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, সকালের বাণীর নির্বাহী সম্পাদক মেহেদী হাসান, বার্তা সম্পাদক এসএম ইকবাল সুমন, পরিকল্পনা সম্পাদক ফরহাদুজ্জামান ফারুক, নিজস্ব প্রতিবেদক (অনলাইন বিভাগ) বিপ্লব হোসেন অপু, নিজস্ব প্রতিবেদক (মাল্টিমিডিয়া বিভাগ) একেএম সুমন, ইকরচালী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি শাহ্ মনওয়ারুল হক, কাল্ব এর চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মিঠু, বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির তারাগঞ্জের সভাপতি কাজী আখতার হোসেন, সম্পাদক এমদাদুল হক, সহকারি প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম, প্রথম আলো উপজেলা প্রতিনিধি রহিদুল মিয়া, ভোরের কাগজ প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম বিজয়, তৃতীয় মাত্রার প্রতিনিধি নাহিদুজ্জামান নাহিদ, বাংলাদেশ বুলেটিনের প্রতিনিধি তারাজুল ইসলাম, ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক এন্ড আলট্রাসনোগ্রামের পরিচালক হায়দার কবির লিটন, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি মোছা. শেফালী বেগম, সম্পাদক আখি খাতুন, নিউ মিষ্টিবন রেস্টুরেন্টের সত্বাধীকারি ক্ষিতিশ চন্দ্র রায়, তারাগঞ্জ কম্পিউটার ট্রেনিং ইনইস্টিটিউট এর পরিচালক ভবেশ চন্দ্র রায়। সার্বিক সহযোগিতায় আব্দুল লতিফ মিয়া সরকার, ওমর ফারুক , লাল মিয়া, রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
পাঠক ফোরামের সভাপতি আব্দুল হামিদ বলেন, সকালের বাণী সমাজ ও দেশের সমস্যাগুলো ও উন্নয়নের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরে সমাজ পরিবর্তনে যে ভূমিকা রাখছে তা প্রশংসার দাবিদার। পাঠক ফোরামে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে পাঠক সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে। বণিক সমিতির সাবেক সভাপতি জয়নাল আবেদীন আফান বলেন, শুরু থেকেই প্রতিদিন সকালের বাণী পত্রিকা পাঠ করি। বিভিন্ন জাতীয় আন্তর্জাতিক খবরের বেশ কাভারেজ করে থাকে। সকালের বাণীর কলাকৌশলী ও সাংবাদিকরা বিশেষ করে মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনে ভূমিকা পালন করবে বলে আমি আশা করছি।
প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. কেএম ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচারে সকালের বাণী একধাপ এগিয়ে। তারা লিখনির মাধ্যমে যে সমস্যাগুলো তুলে ধরবে তা সকলের মঙ্গলে আসবে প্রত্যাশা করছি। প্রতিদিন সকালের বাণী পড়ে থাকি। বহুল পত্রিকাটি অল্প সময়ে পাঠকের গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠবে।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী একরামুল হক বলেন, সকালের বাণী তাদের সংবাদ পরিবেশনের মান বৃদ্ধির মাধ্যমে সমাজের সকল স্তরের মানুষের মন জয় করবে, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে পাঠকের সংখ্যা বাড়াবে এই প্রত্যাশা থাকবে। সকালের বাণীর উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি। কৃষি খাতে উত্তরাঞ্চলের সমস্যা সম্ভাবনা নিয়ে নিয়মিত আয়োজনের প্রত্যাশা করছি।