মানিকগঞ্জের-২ আসনের সাবেক সংসদ সংদস্য ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমের বাবার নামের মধুর মঞ্চে এবার হচ্ছে না বাউল শিল্পীদের গান ও মেলা। এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্যসহ আ.লীগের নেতা কর্মীদের নামে হত্যাসহ নাশকতার, মামলা হওয়ায় সকলে আত্মগোপনে রয়েছেন। সে জন্যই এবারে মেলার আয়োজন বন্ধ রয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে সাবেক সংসদ সদস্য ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমের নিজ বাড়ি সিংগাইর উপজেলার জয়মন্টপ পূর্বভাকুম এলাকার কয়েক জনের সঙ্গে কথা বললে, তারা জানান, কন্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম প্রতিবছর ১ জানুয়ারির তার বাড়ির পাশের নিজ জায়গায় ৩ দিনের বাউল শিল্পীদের গান ও মেলার আয়োজন করতেন। মেলায় আনন্দসহ নামিদামি বাউল শিল্পীদের গান শুনতে পারতাম আমরা। পুরো সিংগাইর উপজেলার সকলেই মেলাকে ঘীরে আনন্দ করতেন।
বিগত বছরে এই মেলার উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, আ.লীগের সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, হাসান মাহমুদ, দিপুমনিসহ হেভিওয়েট অনেক মন্ত্রী এমপিরা। প্রথমবারের মতো মমতাজের বাবা প্রয়াত মধু বয়াতির নামের মেলার ছন্দপতন ঘটতে যাচ্ছে এবার।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের খবরের পরপরই মমতাজ বেগমসহ আ,লীগের নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে রয়েছেন।
আরও জানান যায়, সাবেক সংসদ সদস্য ও কন্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে নিজ নির্বাচনী এলাকায় হত্যা নাশকতাসহ ৬টি মামলা হয়েছে। সেজন্য নিজ গ্রামেও মমতাজ বেগম আসেন না।
হেমায়েতপুর-সিংগাইর-মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে পূর্ব ভাকুম এলাকা মমতাজ বেগমের বাড়িসহ তার আশে পাশে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল একসময়। তার বাড়িতে আ.লীগের নেতাকর্মীদের আড্ডা ছিল। রাজনৈতিক কর্মসূচির যাবতীয় সিন্ধান্ত নেওয়া হতো এখান থেকেই। মমতাজ যখন তার বাড়িতে অবস্থান করতেন, তার অনুসারীরা চারপাশ সরগরম করে রাখতেন। গেল ৫ আগস্টের পর বদলে গেছে সেই চিরচেনা দৃশ্য। সেখানে এখন ভূতুড়ে অবস্থা বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম, সিংগাইর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান শহিদসহ একাধীক নেতাকমীর সঙ্গে। আত্মগোপনে থাকায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে মমতাজ বেগমের বাড়ি ও বাউল কমপ্লেক্সের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি আনন্দ কুমার দত্ত বলেন, ৫ আগস্টে শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার খবর শুনে মমতাজ ম্যাডাম বাড়িসহ সব জায়গা-জমি আমাকে দেখভাল করার কথা বলে চলে যান। এরপর থেকে তার সঙ্গে আমার আর যোগাযোগ হয় নাই। মাস শেষে ম্যাডামের বড় ভাই এসে আামার বেতন দিয়ে যান।