
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় থানায় অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে মডেল কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা। বুধবার (১৯ মার্চ) দুপুরে হাতীবান্ধা মডেল কলেজ কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ওই কলেজের প্রভাষক আশরাফুজ্জামান।
লিখিত বক্তব্য থেকে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে অধ্যক্ষ নিয়োগ নিয়ে জটিলতার কারণে হাতীবান্ধা মডেল কলেজের শিক্ষাকার্যক্রম ও প্রশাসনিক কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। সম্প্রতি কলেজের অধ্যক্ষ পদ নিয়ে তিনজন পৃথক দাবি তোলায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে।
আরো জানা যায়, গত ১২ জানুয়ারি ২০২৩ সালে কলেজটি এমপিওভুক্ত হয়। কিন্তু অধ্যক্ষ পদে নুরুজ্জামান আহমেদ, সালমা বেগম ও হুসাইন মো. নওসাদ—এই তিনজন পৃথকভাবে নিজেদের অধ্যক্ষ দাবি করায় কলেজের স্বাভাবিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে। ফলে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা নিয়মিত বেতন-ভাতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।পরবর্তীতে কলেজ পরিচালনা কমিটি ও শিক্ষকরা সর্বসম্মতিক্রমে গত বছরের ১২ জুলাই ওই কলেজের ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক জনাব হাছেন আলীকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। এরপর থেকে কলেজের কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলতে থাকে। তবে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রণালয়ের তদন্ত দল কলেজ পরিদর্শন করে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে।
লিখিত বক্তব্যে কলেজের শিক্ষকরা অভিযোগ করেছেন, অধ্যক্ষের দাবিদারদের মধ্যে সালমা বেগম তদন্তের পরে কলেজে এসে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করেন। গত ১৭ মার্চ তারিখে কলেজ চলাকালীন কৃষি বিষয়ের প্রভাষক জনাব সফিয়ার রহমানের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়, যা একপর্যায়ে শারীরিক ভাবে হেনস্তা করেন সালমা বেগম। ঘটনার সময় স্থানীয়রা সফিয়ার রহমানকে উদ্ধার করে। কিন্তু উল্টো সালমা বেগম হাসপাতালে ভর্তি হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন৷
শিক্ষক-কর্মচারীরা জানিয়েছেন, তারা চান ডিজির তদন্ত অনুযায়ী যে ব্যক্তি বিধিসম্মতভাবে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন, তাকেই গ্রহণ করবেন। হাতীবান্ধা মডেল কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতা দ্রুত নিরসনের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। তারা আশা করছেন, সংশ্লিষ্ট প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।
Related