বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৫ টায় উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের গোরকমন্ডল সীমান্তের আন্তর্জাতিক মেইন পিলার ৯২৯ এর সাব পিলার ৩ এসের পাশে শুন্য লাইন থেকে প্রায় ২শ গজ ভারতের অভ্যন্তরে ভারতীয় মরাকুটি (ভোরাম পয়োস্তি) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে লালমনিরহাট১৫ বিজিবি ব্যাটলিয়নের অধীন গোরকমন্ডল বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা সীমান্তে টহল জোরদার করে বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানায়।
পরে ওই সীমান্তে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সকাল নয়টা পর্যন্ত বিজিবি – বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পতাকা বৈঠকে বিজিবির ৭ সদস্যের পক্ষে নেতৃত্ব দেন গোরকমন্ডল ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েক সুবেদার ফিরোজ এবং বিএসএফের সাত সদস্যের পক্ষে ৩ বিএসএফ ব্যাটলিয়নের অধীন ভারবান্দা গিদালদহ ক্যাম্পের কমান্ডার গিরিশ চন্দ্র নেতৃত্ব দেন। পতাকা বৈঠকের পর সকাল ১০টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে গুলিতে নিহত ওই ভারতীয় চোরাকারবারীর মরদেহ নিয়ে যায় বিএসএফ।
বিজিবি জানায়, নিহত ব্যক্তির নাম জাহানুর আলম (২৪)। তিনি ভারতের কোচবিহার জেলার দিনহাটা থানার গিদালদহ এলাকার ভোরাম পয়োস্তি গ্রামের কবিদুল ইসলামের ছেলে।
সীমান্তবাসীরা জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে একদল ভারতীয় চোরাকারবারী ওই সীমান্ত দিয়ে চোরাই মাল (গাঁজার) পোটলা নিয়ে বাংলাদেশে পাঁচারের চেষ্টা করে। এ সময় ভারতীয় ভারবান্দা গিদালদাও ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাদেরকে লক্ষ্য করে পর পর ৬ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
এতে ভারতীয় চোরাকারবারী জাহানুর রাবার বুলেটের স্প্রিন্ট বিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলের এক জলাশয়ে পরে নিহত হয়। বাকি চোরাকারবারীরা পালিয়ে যায়। এ সময় গোলাগুলির শব্দে গোটা সীমান্ত এলাকায় সীমান্তবাসীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে সকাল সোয়া ১১ টার দিকে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মেহেদী ইমাম ওই সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।
এ প্রসঙ্গে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লে: কর্নেল মেহেদী ইমাম জানান, বিএসএফের কাছে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ভোরের দিকে একদল ভারতীয় নাগরিক টহলরত বিএসএফ পোস্টে হামলা চালায়। তখন আত্নরক্ষার্থে বিএসএফ রাবার বুলেট নিক্ষেপ করলে এক ভারতীয় হামলাকারী নিহত হয়। বিষয়টি ভারতের অভ্যন্তরীন বিষয়। এর সাথে বাংলাদেশ বা বিজিবির কোন সমৃক্ততা নাই। তারপরও সীমান্তে বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।