বিএনপি অফিসে হামলা ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগ ও ককটেল হামলার ঘটনায় বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে মামলায় গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনের সাবেক এমপি শাহ সারোয়ার কবিরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। বুধবার বিকেলে গাইবান্ধা অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন এ আদেশ দেন। পরে তাকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এরআগে তাকে দিনাজপুর থেকে প্রিজন ভ্যানে করে কড়া নিরাপত্তায় বুধবার বিকেল তিনটার দিকে গাইবান্ধা আদালতে আনা হয়।
গাইবান্ধা কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মাসউদ চৌধুরী বলেন, জেলা বিএনপি কার্যালয়ে হামলা ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগের মামলায় সাবেক এমপিকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় সাবেক এমপির পক্ষে আইনজীবীরা তার জামিনের জন্য আবেদন জানান। আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে দিনাজপুরে পুলিশের হাতে আটক হন গাইবান্ধা সদর আসনের সাবেক এমপি শাহ সারোয়ার কবির। রাত সোয়া আটটার দিকে দিনাজপুর পৌর শহরের ঈদগাহ বস্তি এলাকায় দীবা গার্ডেন নামের একটি বাসা থেকে তাঁকে আটক করা হয়। শাহ সারোয়ার কবির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে গাইবান্ধা-২ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি গাইবান্ধা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। সারোয়ার কবির গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
গতবছরের ২৬ আগষ্ট গাইবান্ধা সদর আসনের সাবেক এমপি শাহ সারোয়ার কবিরসহ আওয়ামী লীগের ৩৬৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা হয়। মামলায় শাহ সারোয়ার কবিরসহ ১১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ২০০ থেকে ২৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি দেখানো হয়। জেলা বিএনপি কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল হামলার ঘটনায় বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে এই মামলা হয়। জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক আবদুল হাই বাদী হয়ে এই মামলা করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ৪ আগষ্ট বিকেল চারটার দিকে জেলা শহরের সার্কুলার রোর্ডস্থ জেলা বিএনপির কার্যালয়ে প্রবেশ করে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তারা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালায়। হামলাকারিরা বিএনপি কার্যালয়ের তালাসহ দরজা জানালা ভেঙে ভেতরের চেয়ার টেবিলসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে। পরে কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে এবং ভাংচুর করা আসবাবপত্র বাইরে বের করে সেগুলোতে পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এতে অনেক ক্ষতিসাধিত হয়।