আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দিয়ে নিষিদ্ধ করার দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার সকাল ১১টার দিকে শহরের চৌরাস্তায় জুলাই যোদ্ধা ও আহত-নিহতদের পরিবার এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার যৌথ উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
সমাবেশে নেতৃত্ব দেন জুলাই যোদ্ধা সংগঠনের সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব মো. রায়হান অপু। কর্মসূচিতে অংশ নেন জাতীয় নাগরিক পার্টি, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ ভারতের ইশারায় দেশ পরিচালনা করে দেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং উন্নয়নকে ধ্বংস করেছে। তারা অভিযোগ করেন, দলটি ক্ষমতায় থাকতে দেশে গণহত্যা, খুন-গুম, সংবাদমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়েছে।
বক্তারা আরও বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের’ মাধ্যমে জনগণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করেছে। এখন এই “খুনি দলকে” দেশের রাজনীতি থেকে সম্পূর্ণভাবে নির্বাসিত করতে হবে।
সমাবেশে তিনটি প্রধান দাবি উত্থাপন করা হয়, আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করতে হবে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে দলটির বিরুদ্ধে দলগত বিচারের বিধান যুক্ত করতে হবে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ জারি করতে হবে।
কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির ঠাকুরগাঁও জেলার সংগঠক রবিউল আউয়াল মুন্না, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সংগঠক মো. মিরাজ ইসলাম, জাতীয় নাগরিক পার্টির পীরগঞ্জ উপজেলার মো. রাশেদুজ্জামান শুভ এবং রানীসংকৈল উপজেলার মো. মোকাররম হোসেন।
তারা বলেন, জনগণের রায়কে সম্মান করে এই দাবি বাস্তবায়ন না হলে আগামী দিনগুলোতে আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হলো।