1. [email protected] : Md Hozrot Ali : Md Hozrot Ali
  2. [email protected] : Sokaler Bani : Iqbal Sumon
  3. [email protected] : Md Hozrot Ali : Md Hozrot Ali
হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি: যে সতর্কতায় বাঁচবে জীবন | দৈনিক সকালের বাণী
বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০৫:০৩ পূর্বাহ্ন

হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি: যে সতর্কতায় বাঁচবে জীবন

সকালের বাণী ডেস্ক
  • আপলোডের সময় : শনিবার, ১০ মে, ২০২৫
  • ২০ জন দেখেছেন

সারা দেশে বিরাজ করছে প্রচণ্ড দাবদাহ। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে, যা জনজীবন বিপর্যস্ত করে তুলছে। এমন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যঝুঁকি হলো ‘হিটস্ট্রোক’— যা সময়মতো প্রতিরোধ না করলে প্রাণঘাতী হতে পারে।

 

এখনই সময় সচেতন হওয়ার। আসুন জেনে নিই, কীভাবে এই প্রাণঘাতী বিপদ থেকে রক্ষা পেতে হবে।

হিটস্ট্রোক কী

স্বাভাবিক অবস্থায় আমাদের শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে রক্তপ্রবাহ ও ঘামের মাধ্যমে। কিন্তু যখন পরিবেশে অতিরিক্ত গরম এবং আর্দ্রতা থাকে, তখন এই স্বাভাবিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। ফলাফল — শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট (৪০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস)-এর ওপরে পৌঁছে যায় এবং দেখা দেয় ‘হিটস্ট্রোক’।

হিটস্ট্রোক হলে শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ যেমন মস্তিষ্ক, হৃদযন্ত্র, কিডনি গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

হিটস্ট্রোকের পূর্ববর্তী সতর্ক সংকেত

  • হিটক্র্যাম্প (মাংসপেশির টান/ব্যথা): পেশিতে ব্যথা, দুর্বলতা, অতিরিক্ত পিপাসা।
  • হিট এক্সোসশন (উষ্ণ ক্লান্তি): মাথাব্যথা, দ্রুত শ্বাস, ঝিমঝিম ভাব, বমি ভাব, অসংলগ্ন আচরণ, ঘাম ঝরতে থাকা।

এই অবস্থাগুলো অবহেলা করলে পরিস্থিতি দ্রুত হিটস্ট্রোকে রূপ নেবে।

হিটস্ট্রোকের গুরুতর লক্ষণ

  • শরীরের তাপমাত্রা ১০৫°F (৪০.৫°C)-এর বেশি।
  • ঘাম বন্ধ হয়ে গিয়ে ত্বক লালচে, শুকনো ও গরম হয়ে যায়।
  • শ্বাস দ্রুত ও অগোছালো হয়।
  • নাড়ির স্পন্দন ক্ষীণ ও দ্রুত হয়, রক্তচাপ কমে যায়।
  • মানসিক বিভ্রান্তি, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া।

এগুলো দেখা দিলে এক মুহূর্তও দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে।

কীভাবে প্রতিরোধ করবেন

  • হালকা, ঢিলেঢালা ও হালকা রঙের সুতি কাপড় পরুন।
  • বাইরে গেলে ছাতা বা চওড়া টুপি ব্যবহার করুন।
  • রোদে কাজের সময় মাথা ও ঘাড় ঢেকে রাখুন।
  • দিনে অন্তত ৩ লিটার পানি ও লবণযুক্ত পানীয় (যেমন স্যালাইন, লাচ্ছি, ফলের রস) পান করুন।
  • সরাসরি রোদে শারীরিক পরিশ্রম এড়িয়ে চলুন।
  • ঘর ও কর্মস্থল শীতল ও বাতাস চলাচলযোগ্য রাখুন।

কেউ আক্রান্ত হলে কী করবেন

  • আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুত ঠাণ্ডা স্থানে নিয়ে যান।
  • ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছুন, বরফ বা ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করুন।
  • ফ্যান বা এসি চালু করুন।
  • তাকে পানি বা খাওয়ার স্যালাইন পান করান, কিন্তু চা বা কফি এড়িয়ে চলুন।
  • দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান — ঘরে চিকিৎসার সুযোগ নেই।

বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই দাবদাহে শুধু পানি খেলেই চলবে না, লবণযুক্ত পানীয় খেতে হবে। আর শিশু, বৃদ্ধ, গর্ভবতী নারী ও অসুস্থদের প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে।

এছাড়া বাইরে যাদের কাজ করতে হয়, তাদের উচিত দিনের গরমের সময় (দুপুর ১২টা–৩টার মধ্যে) যথাসম্ভব বিশ্রাম নেওয়া এবং প্রয়োজন হলে বারবার ছায়ায় গিয়ে পানি পান করা।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত দৈনিক সকালের বাণী
Theme Designed BY Kh Raad ( Frilix Group )