কুড়িগ্রামের রৌমারীতে অতিবৃষ্টির কারণে জিঞ্জিরাম নদীর পানি স্রোতে ভেঙে গেছে কাঠ ও বাঁশের তৈরি সেতুটি। এ কারণে উপজেলা শহর থেকে ১১ গ্রামের ২০ হাজার মানুষ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। শনিবার (১৭ মে) দুপুরে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের লালকুড়া এলাকায় ভেঙে যায় সেতুটি।
রোবার (১৮ মে) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় থেকে ২০২৪ সালে জিঞ্জিরাম নদীর ওপরে কাঠ ও বাঁশ দিয়ে সেতুটি তৈরি হয়। অল্প কয়েকদিনের মধ্যে তা নড়বড়ে হয়ে যায়। এরপরও ওই সেতুর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে আসছিল ১১ গ্রামের ২০ হাজার মানুষ। এই সেতুটি ভেঙে পড়ায় উপজেলা শহরের সঙ্গে বন্ধ হয়ে যায় যোগাযোগ ব্যবস্থা।
খেওয়ারচর এলাকার হায়দার আলী, শাকিল মিয়া, ইসমাইল হোসেন, বকবান্ধা এলাকার সবুজ মিয়া, ইউনুছ আলী, মোশারফ হোসেন, লালকুড়া এলাকার জহুরুল ইসলাম ও আছির উদ্দিনসহ অনেকে বলেন, লালকুড়া এলাকার জিঞ্জিরাম নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। চলাচলের সেই একমাত্র সেতুটি পানির স্রোতে ভেঙে গেছে। এতে উপজেলা শহর, হাসপাতাল, হাট-বাজারে এই সেতুর ওপর দিয়ে যেতে হয়। সেতুটি ভেঙে পড়ায় চলাচল করতে অনেক সমস্যা হচ্ছে তাদের। সেতুটি দ্রুত মেরামত করার দাবি জানান এলাকাবাসী।
যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরবেশ আলী বলেন, জিঞ্জিরাম নদীর পানির তীব্র স্রোতে শনিবার দুপুরে ভেঙে যায় কাঠের সেতুটি। এতে বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়ে মানুষের যাতায়াত। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজ্জ্বল কুমার হালদার বলেন, সেতুটি দ্রুত মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।