নীলফামারী সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সভাকক্ষে জেলা তথ্য অফিস আয়োজিত টাইফয়েড জ্বর প্রতিরোধে ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমের ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় এই তথ্য জানানো হয়।
মঙ্গলবার দিনব্যাপী (৭অক্টোবর) অনুষ্ঠিত কর্মশালায় স্কাউটস ও গার্লস গাইডের ৫০ জন সদস্য অংশ নেন। এছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রতিনিধিরা এতে উপস্থিত ছিলেন।
জেলা তথ্য কর্মকর্তা বায়েজীদ হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সাইদুল ইসলাম।
সহকারী জেলা তথ্য কর্মকর্তা কবির উদ্দিনের সঞ্চালনায় কর্মশালায় টাইফয়েড জ্বর প্রতিরোধে টিকাদান কর্মসুচির কার্যক্রম উপস্থাপন করেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার আতাউর রহমান শেখ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের পরিচালক সৈয়দ এ মু’মেন ও ডালিয়া ইয়াসমিন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন নীলফামারী জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোছাদ্দিকুল আলম এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নীলফামারীর মেডিক্যাল অফিসার মিজানুর রহমান।
কর্মশালায় জানানো হয়, নীলফামারী জেলায় ৯মাস থেকে ১৫বছর বয়সী ৫লাখ ৫৯হাজার ৫৩৭টি শিশুকে টাইফয়েড জ্বরের টিকাদান ক্যাম্পেইনের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
এরমধ্যে স্কুল শিক্ষার্থী ৩লাখ ৮০হাজার ৫’শ ৫জন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বর্হিভুত রয়েছে ১লাখ ৭৯হাজার ৩২জন।
মেডিক্যাল অফিসার আতাউর রহমান শেখ জানান, ১২অক্টোবর থেকে ৩০অক্টোবর মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, ১থেকে ১৩নভেম্বরের মধ্যে কমিউনিটি পর্যায়ে এবং স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে ১২অক্টোবর থেকে ১৩নভেম্বর পর্যন্ত টিকা প্রদান করা হবে।
বলেন, সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টিকাদান কার্যক্রম চলমান থাকবে। টিকা নিতে হলে অবশ্যই অনলাইনের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারগণ এই প্রক্রিয়ায় সহায়তা করছেন।
জেলা তথ্য কর্মকর্তা বায়েজীদ হোসেন জানান, শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতা মুলক প্রচার কার্যক্রম শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ইউনিসেফ বাংলাদেশ এর আর্থিক এই ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) সাইদুল ইসলাম বলেন, আমরা যে যেখানে দায়িত্ব পালন করছি, এই টিকাদান কার্যক্রম সফল করতে প্রত্যেককে এগিয়ে আসতে হবে। সবাইকে প্রচারণা চালাতে হবে এবং অনলাইনে নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে সহযোগীতা করতে হবে।