1. [email protected] : Md Hozrot Ali : Md Hozrot Ali
  2. [email protected] : Sokaler Bani : Iqbal Sumon
  3. [email protected] : Md Hozrot Ali : Md Hozrot Ali
‘দুধ’ দেয় কবুতর, খাওয়ায় ছানাদের! | দৈনিক সকালের বাণী
সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৫৫ অপরাহ্ন

‘দুধ’ দেয় কবুতর, খাওয়ায় ছানাদের!

লাইফস্টাইল ডেস্ক
  • আপলোডের সময় : শনিবার, ১ নভেম্বর, ২০২৫
  • ৬৫ জন দেখেছেন

‘দুধ না খেলে, হবে না ভালো ছেলে’—এই বাক্যটি ছেলেবেলায় শুনেছেন নিশ্চয়ই। একটি সুষম খাবার এটি। দুধের কথা বলতে গেলেই গরু, ছাগল, মানুষ কিংবা কোনো স্তন্যপায়ী প্রাণীর কথা মাথায় আসা স্বাভাবিক। কিন্তু কখনো কি শুনেছেন কোনো পাখি দুধ দেয়?

হ্যাঁ, অবাক করা এই ঘটনাই ঘটে। আর এই পাখিটি আমাদের অতি পরিচিত কবুতর। পাখি হয়েও কবুতর দুধ দেয়। বিজ্ঞানীরা এই দুধের নাম দিয়েছেন ‘পিজন মিল্ক’ (Pigeon Milk)। কবুতরছানারা জীবনের শুরুতে একমাত্র খাবার হিসেবে এটি খেয়ে থাকে।

pigeon1

কবুতরের দুধ কীভাবে তৈরি হয়?

এই দুধ স্তন্যপায়ীদের মতো স্তনগ্রন্থি থেকে আসে না। বরং কবুতরের গলার ভেতরে থাকা ‘ক্রপ’ (crop) নামক একটি থলি সদৃশ অঙ্গ থেকে নিঃসৃত হয় এটি। মূলত কবুতররা যে শস্য দানা খায়, সেই খাবার থেকে কিছু খাদ্য তাদের বাচ্চাদের খাওয়ানোর জন্য খাদ্য থলিতে রাখে। সেখানে তাদের গ্রন্থি থেকে এক ধরনের সাদা তরল নিঃসরিত হয়, যাতে ঐ খাবার ভিজে তরল মণ্ডের মতো হয়।

বাচ্চাদের খাওয়ানোর সময় কবুতর সেই তরল খাদ্য তাদের খাদ্য থলি থেকে মুখের দিকে বের করে নিয়ে আসে। ছানার যেন খাবার গিলতে কষ্ট না হয় তার জন্য এমনটা করে তারা। কবুতরের দুধ সাধারণ দুধের তুলনায় কিছুটা পুরু আর হলদেটে। ছানা ফুটে বের হওয়ার পর মা-বাবা উভয়েই ঠোঁটের মাধ্যমে ছানাকে এই দুধ খাওয়ায়। সাধারণত ছানার জন্মের পর প্রথম ১০ দিন এই দুধ খাওয়ানো হয়।

pigeon2

কী আছে কবুতরের দুধে?

গবেষণায় দেখা গেছে, কবুতরের দুধে আছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফ্যাট, অ্যান্টিবডি, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ইমিউন সেল। এসব উপাদান নবজাতক কবুতরছানার রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে সাহায্য করে। এই দুধে থাকা ইমিউন কোষ ও প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া ছানাকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে এবং দ্রুত বৃদ্ধি ঘটায়।

সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো— পুরুষ ও স্ত্রী উভয় কবুতরই এই দুধ তৈরি করতে পারে। প্রাণিজগতে এমন উদাহরণ অত্যন্ত বিরল। সাধারণত দুধ উৎপাদন মা প্রাণীদের কাজ হলেও কবুতরের ক্ষেত্রে বাবারাও ছানার খাবার তৈরিতে ভূমিকা রাখে।

pigeon3

শুধু কবুতর নয়, ফ্লেমিংগো ও সম্রাট পেঙ্গুইন প্রজাতির পাখিরাও দুধজাতীয় তরল উৎপাদন করে। তবে কবুতরের দুধ সবচেয়ে বেশি পুষ্টিকর এবং জৈবিকভাবে জটিল বলে মনে করা হয়।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, পিজন মিল্কের রাসায়নিক গঠন ও জৈব প্রক্রিয়ার সঙ্গে মানুষের বুকের দুধের আশ্চর্য মিল রয়েছে। এটি শুধু পুষ্টির উৎস নয়, বরং এক ধরনের ইমিউন সিস্টেম ট্রেনার— যা নবজাতক ছানাকে প্রাকৃতিকভাবে রোগ প্রতিরোধে সক্ষম করে।

pigeon4

বর্তমানে ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানে এই দুধ নিয়ে বায়ো টেকনোলজিক্যাল গবেষণা চলছে। বিজ্ঞানীরা খুঁজে দেখছেন, এটি থেকে মানব ব্যবহারের উপযোগী কোনো ইমিউন বুস্টার বা প্রোবায়োটিক সাপ্লিমেন্ট তৈরি করা সম্ভব হয় কি না।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত দৈনিক সকালের বাণী
Theme Designed BY Kh Raad ( Frilix Group )