


রংপুরের বদরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার ও পুরাতন ইটের ওপর ঢালাইসহ নানা ত্রুটি লক্ষ্য করা গেছে। এ নিয়ে স্থানীয় লোকজন প্রতিবাদ জানায়। এতে সাময়িকভাবে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুরে স্টেশনের বিভিন্ন অংশে ঢালাই ও ড্রেন নির্মাণ কাজ চলাকালে এসব অনিয়মের বিষয়টি প্রকাশ পায়। নিম্নমানের বালু ও পুরাতন ইট দিয়ে কাজ করায় স্থানীয়রা প্রতিবাদ জানালে সাময়িকভাবে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এসময় স্টেশন মাস্টার ইমরুল কায়েস উপস্থিত থেকে নিম্নমানের বালু সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিলেও সাব-ঠিকাদার তরিকুল ইসলাম সেই নির্দেশ অমান্য করে পুরাতন ইটের ওপরই ঢালাই কাজ চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, বদরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের সংস্কার ও রিপেয়ারিং কাজের দায়িত্ব পেয়েছেন জামিল এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে প্রতিষ্ঠানটির হয়ে সাব-ঠিকাদার হিসেবে কাজটি পরিচালনা করছেন তরিকুল ইসলাম।
অভিযোগ রয়েছে, কোনো অনুমোদিত এস্টিমেট ছাড়াই তিনি মুসাফিরখানা, ড্রেন ও অন্যান্য অংশে নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে কাজ শুরু করেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, ‘পুরাতন ইট ও বালু মিশ্রিত ইটের খোয়া দিয়ে আগের ভাঙা জায়গার ওপরই ঢালাই করা হচ্ছে। এটি র্দীঘস্থায়ী হবে না, বরং সরকারি অর্থের অপচয় হবে বলে দাবি করছেন এলাকাবাসী সাব-ঠিকাদার তরিকুল ইসলাম বলনে, ‘কাজে কোনো ধরনের অনিয়ম করা হচ্ছে না। শুধু শুধু অনিয়মের অভিযোগ করে কাজে ব্যাঘাত ঘটানো হচ্ছে।
তবে আমার কাছে কোনো এস্টিমেট নেই। যেভাবে আমাকে বলা হয়েছে, আমি সেভাবেই কাজ করছি।’ রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার ইমরুল কায়েস বলেন, ‘আমি তরিকুল ইসলামের কাছে কাজের এস্টিমেট চেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি তা দেখাতে পারেননি। নিম্নমানের বালু দিয়ে কাজ করায় আমি বাধা দিয়েছি। তারা আমার নির্দেশ না মেনে নিজের মতো করে কাজ করছেন। এ বিষয়ে রেলওয়ের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রংপুর আইডব্লিউডি এর শফিকুল ইসলাম স্বপন মুঠোফোনে বলনে, রেলওয়ে স্টেশনের রিপিয়ারিং কাজ সঠিকভাবে হচ্ছে।
স্টিমেট অনুযায়ী কাজ চলছে। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নাম ও দায়িত্বপ্রাপ্তদের বিষয়ে তিনি কোনো তথ্য দিতে পারেননি। উল্টো কাজে কোণ ধরনের নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে না বলে সাফাই গান ঠিকাদারের পক্ষে।