
বাংলাদেশের শাসন ক্ষমতায় জেকে বসা আওয়ামী সরকারের পতনের নিমিত্তে ২০২৪ সালের ছাত্র জনতার আন্দোলন বাংলাদেশের ইতিহাসে জায়গা পেলেও সদ্য যোগদানকৃত গঙ্গাচড়া মডেল থানা অফিসার ইনজার্চ মো: এম ইমরান রক্তের দাগ মুছে না যেতেই ছাত্রের অবদান ভুলে যেতে বসেছে ।
অভিযোগ উত্থাপন করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গঙ্গাচড়া উপজেলা সমন্বয়ক আলী আল রাদিত রেশান। গতকাল মঙ্গলবার গঙ্গাচড়া থানা পুলিশ গঙ্গাচড়া উপজেলার সকল পূঁজা উদযাপন কমিটির দায়িত্বশীলদের সাথে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে একটি মতবিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। আয়োজনে পূঁজা উদযাপন কমিটি ছাড়াও বি,এন,পি, জামায়েত ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীকে আহবান করা হলেও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কাউকে আহবান করা হয়নি।পাশাপাশি অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোও উপেক্ষিত হয়েছে।
সমন্বয়ক রাদিত বলেন, গঙ্গাচড়ায় আন্দোলনরত ছাত্র-জনতা নূতন বাংলাদেশ ফিরে পাওয়ার পর যে থানা পুলিশকে ফুল দিয়ে বরণ করেছে সেই থানা পুলিশই আজ আমাদের এত কম সময়ে ভুলে যাবে আমরা এটা ভাবতেই পারছি না। দেশ যেখানে সংস্কারের ধারায় চলমান সেখানে গঙ্গাচড়া থানা পুলিশের মানুষিক বিপর্যয় মেনে নিতে কষ্ট হয়।
একই ধরনের অভিযোগ উপস্থাপন করেছেন গঙ্গাচড়া সাংবাদিক সমাজও। কোন সাংবাদিককে দাওয়াত দেয়া হয়নি জানিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন গঙ্গাচড়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি ও উপজেলা সাংবাদিক সমাজের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম প্রামানিক, গঙ্গাচড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি সাজু আহম্মেদ লাল ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী স্বপনসহ অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে গঙ্গাচড়া থানা পুলিশের চিন্তা চেতনায় এত বড় ধরনের ঘাটতি সময়ের দাবি পূরণে ব্যার্থতারই বহিঃপ্রকাশ।
যে অনুষ্ঠানে একটি দলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীকে ডাকা হয়, সেখানে স্বাধীনতাত্তোর গঙ্গাচড়ার বৃহৎ রাজনৈতিক দল জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দকে আহবান করা হয়নি মর্মে দলের বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্বশীল একাধিক নেতা-কর্মী জানান।
এবিষয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ মো: এম ইমরানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি সবাইকে সন্তুষ্ট রাখার চেষ্টা করছি।
Related