তবে মরদেহের পরিচয় সনাক্তে ঠাকুরগাঁও সিআইডির বিশেষ দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের উভয় হাতের আঙ্গুলের ছাপ সহ প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহ করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। আলামত পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য ঢাকায় সিআইডির ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হবে। রির্পোট পেলে আইন অনুযায়ী পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা কথা জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে, মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরনে শার্ট ও লুঙ্গি ছিল।
এছাড়া মাথায়, চোয়ালে, কানে সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে কাটা ও আঘাতের চিহ্ন আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। নিহত ব্যাক্তিকে ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
এদিকে মহানন্দা নদীর তীরে একটি মরদেহ উদ্ধার হয়েছে এমন খবরে ঘটনাস্থলে ছুঁটে যান স্থানীয়রা। এসময় শত শত মানুষের ভীড় জমে সীমান্তবর্তী মহানন্দা নদীতে।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সকালে তেতুঁলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের জায়গীরজোত এলাকায় মহানন্দা নদীতে পাথর উত্তোলনের কাজে যাচ্ছিলেন একদল পাথর শ্রমিক। এসময় তারা নদীর চরে রক্ত দেখতে পান। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্যকে খবর দেয়া হয়।
পরে বিজিবিকে খবর দেয়া হলে ছুটে যায় তারাও। তারা নদীতে রক্তের পাশেই কাঁচা বালি দেখতে পান শ্রমিকেরা। পরে হাত দিয়ে বালি খুঁড়তেই একটি হাত বেরিয়ে আসে। পরে ঘটনাস্থলে ছুঁটে যায় তেতুঁলিয়া মডেল থানা পুলিশ। পরে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পরিচয় সনাক্তে ঠাকুরগাঁও সিআইডির বিশেষ দল আলামত সংগ্রহ করে।
বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জামিরুল ইসলাম বলেন, সকালে পাথর শ্রমিকদের মাধ্যেমে জানতে পারি নদীর চরে রক্ত দেখা যাচ্ছে পরে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। পরে বিজিবিকে খবর দিলে তারা সহ রক্তের কিছু দূরে কিছু কাঁচা বালি দেখতে পাই। বালি হাত দিয়ে খুঁড়তেই একটি হাত বেরিয়ে আসে। পরে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। তারা এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত ব্যাক্তি আমাদের এলাকার কেউ নয় বলে নিশ্চিত হয়েছি। তেতুঁলিয়া মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) প্রবীর কুমার রায় বলেন, নিহতের পরিচয় পাওয়া যায়নি। আমরা মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি।
মরদেহের ফরেনসিক প্রতিবেদন পেলে পরিচয় জানা যাবে। ময়নাতদন্তে হত্যার বিষয়ে জানা যাবে। পরে প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে মরদেহ সৎকার বা দাফনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।