
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে টানা বৃষ্টিপাতে সড়ক ভেঙে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিছিন্ন হয়ে পড়ায় চরম দুর্ভোগ স্থানীয়রা। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কুরুষাফেরুষা ফকিরপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, টানা বৃষ্টিতে ১৫ থেকে ২০ ফুট দুরস্ত সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় দুই মাস থেকে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিছিন্ন হয়ে যায়। এতে কুরুষাফেরুষা, পূর্বফুলমতি ও গজেরকুটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিছিন্ন।
ফলে চরম দূর্ভোগ নিয়ে ওইসব এলাকার মানুষ জরুরি প্রয়োজনের তাগিদে দেড় কিলোমিটার অতিক্রম করে বালারহাট বাজারে যাচ্ছেন। এলাকাবাসী স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সড়কের ভেঙে যাওয়া অংশটুকু মেরামত করার আবেদন করলেও কোন সাড়া পায়নি। ফলে টানা দুই থেকে তিন মাস ধরে কোন প্রকার যানবাহন চলছে না। অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে দুর্ঘটনার স্বীকার হন। সড়কটি পুকুর সংলগ্ন হওয়ায় বার বার টানা বৃষ্টি হলে ভেঙে যায়। সড়কটি দ্রুত মেরামত না করলে কোন সময় একটি পাকা বাড়ী সেই গর্তে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন।
স্থানীয় আবুল হোসেন, আব্দুল মজিদ মানিক ও হায়দার আলী জানান, আজ ৬ মাস আগে যখন সড়কের কিছু অংশ ভেঙে যাওয়ার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে জানানো হয়েছে। তারা এব্যাপারে কোন কর্ণপাত। সামান্য হাটা চলা গেলেও কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাতে সম্পূর্ণ সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে যায়। তারপরও সড়কটি মেরামতের কোন উদ্যোগ নেয়নি কেউ। অনেকেই ভাঙা সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। এখনো প্রতিনিয়ত ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। এই ভাঙা সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে একজন সংবাদ কর্মী মারাত্মক ভাবে আহত হয়েছে। তিনি এখন সুস্থ হয়নি। তারা দ্রুত সড়কটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাসেন আলী জানান, এই মুহূর্তে কোন বরাদ্দ নেই। যদি সামনে বরাদ্দ আসলে তাহলে সড়কটি মেরামত করা যাবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রেহেনুমা তারান্নুমকে সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বিছিন্ন হওয়ার বিষয়টি জানালে তিনি মেরামত করার আশ্বাস দিয়েছেন।
Related