1. onlinesokalerbani@gmail.com : Md Hozrot Ali : Md Hozrot Ali
  2. iqbalbarabil80@gmail.com : Sokaler Bani : Iqbal Sumon
  3. sharifuzzamanmdiqbal@gmail.com : Md Hozrot Ali : Md Hozrot Ali
গঙ্গাচড়ায় জিআর চাল কালো বাজারে বিক্রি দায়সারা বক্তব্য কর্তৃপক্ষের | দৈনিক সকালের বাণী
বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৭:৫৩ অপরাহ্ন

গঙ্গাচড়ায় জিআর চাল কালো বাজারে বিক্রি দায়সারা বক্তব্য কর্তৃপক্ষের

গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি
  • আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪
  • ১৮৮ জন দেখেছেন
জিআর চাল কালো বাজারে বিক্রি

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার শারদীয় দুর্গাপূজায়  সরকারি বরাদ্দকৃত চাল কালো বাজারে বিক্রির  অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা যায়, উপজেলায় মোট ৯২টি পূজামন্ডপ রয়েছে। প্রত্যেক পূজামন্ডপে ৫ শত কেজি হিসেবে মোট বরাদ্দ ৪৬  টন চাল দেওয়া হয়েছে।

 

গত ৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার শারদীয় দুর্গাপূজার জিআর চাল বিতরণ করা হয়। তবে দেখা গেছে, জিআর চাল বিতরণের মূল উদ্দেশ্য পূজামন্ডপের আগত ভক্তদের আহার্য্য বাবদ দেওয়া হয়েছে । জিআর চাল বিক্রির জন্য নহে তবুও বিক্রি করা হয়েছে। পূজা উদযাপন পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের স্বেচ্ছাচারিতায় জিআর চাল বিক্রি হয়েছে।

উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি ক্ষ্যান্ত রানী রায় বলেন,  বরাদ্দকৃত চাল পুরানো  হওয়ার কারনে  বিক্রি করে দিয়েছে। জিআর চাল গুলো তো আপনি দেখেননি। এলএসডি গুদামে ব্যবসায়ীরা তো চাল সরাসরি রংপুরে নিয়ে যাচ্ছে, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।

 

 

জিআর চাল গুদাম থেকে ব্যবসায়ীর হাতে তুলে দেওয়া বিষয়ে খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাইয়ুম খান রাগান্বিত হয়ে বলেন, এগুলো জিআর চাল বিক্রি হতে পারে। এখানে আমি অনিয়মের কিছু দেখতেছি না। এবিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সজিবুল করীম বলেন, এগুলো জিআর চাল পূজামন্ডপের আগত ভক্তদের আহার্য্য বাবদ দেওয়া হয়। এগুলো বিক্রির জন্য নহে। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক উম্মে কুলসুমা খাতুন বলেন, আমি নতুন এসেছি আমার ততটা জানা নেই । বিষয়টি দেখতেছি।

 

এ ব্যাপারে উপজেলার  বড়বিল ইউনিয়নের  উত্তর পানাপুকুর দাস পাড়া পূজা পরিচালনা  কমিটির  সভাপতি ননী চন্দ্র দাস  এর কাছে  জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএনপি নেতা তপন চন্দ্রসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা  সবার কাছ থেকে চাউল দেওয়া কাগজ গুলো নিয়ে জমা করে ১৯ হাজার ২ শত টাকা  দিয়েছে । অথচ বাহিরে  ২০ হাজার টাকায় চালের কাগজ বিক্রি হয়েছে। বেতগাড়ী ইউনিয়নের চন্দনেরহাট সার্বজনীন দূর্গা  পূজার সভাপতি মহেন্দ্র নাথ রায় দু:খ  প্রকাশ করে বলেন, সরকার আমাদের পূজা মন্ডবের জন্য  ৫ ‘শ কেজি করে চাল বরাদ্দ  দিয়েছে। কিন্তু বিএনপি নেতা তপন সহ কয়েকজন আমাদের চালের কাগজ জোর করে নিয়ে  ১৯ হাজার ২ শত   টাকা দিয়েছে।
এ বিষয়ে  বিএনপি নেতা  তপন  চন্দ্র রায়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে বলেন, এটা কোন একক সিদ্ধান্ত নয়, আমরা মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত দৈনিক সকালের বাণী
Theme Designed BY Kh Raad ( Frilix Group )