এ বিষয়ে বুড়িমারী স্থলবন্দর স্টেশন কুলি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ফজলুল হক ও সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম প্রধান বলেন, শ্রম আইন এবং গঠনতন্ত্র বিধানে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ব্যতিত কারও সভা আহ্বানের আইনানুগ অধিকার নাই। বর্তমানে আমরা নির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটি ২০২৫ সাল পর্যন্ত কার্যক্রম পরিচালনার অধিকার সংরক্ষণ করি। রেজিস্ট্রার অব ট্রেড ইউনিয়ন আঞ্চলিক শ্রমদপ্তর রংপুর, শ্রম আদালতে মামলার বরাতে তারা মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিকে বে-আইনি উল্লেখ করে সাধারণ সভায় প্রতিনিধি প্রেরণ স্থগিত করেন এবং বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করেন। ফলে গত ১১ ডিসেম্বর বুড়িমারী স্থলবন্দর ও কুলি শ্রমিক ইউনিয়নের আদৌ কোনো সভা অনুষ্ঠিত হয়নি।
তারা আরও বলেন, যে নির্বাচন তারা দেখিয়েছে সেটির বিষয়ে স্থানীয় সংবাদকর্মী ও স্থলবন্দরের অন্যান্য অংশের কর্মকর্তা, শ্রমিক সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দও অবগত নয়। এছাড়া যারা নির্বাচিত হওয়ার দাবি করেন তারাই মুলত শ্রমিক নয়। শ্রমিকদের তিন সংগঠনের সভাপতি /সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চুক্তিবদ্ধ হয়, যেটি প্রমাণ করে আমাদের চলমান কমিটির বিরুদ্ধে তাদের ষড়যন্ত্র বন্দরকে কতটা অস্থিতিশীল করে তুলবে।সুতরাং তাদের এমন ঘৃণ্য কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
বুড়িমারী স্থলবন্দর স্টেশনের কুলি শ্রমিক, সাজু, মুকুল, ফরিদুল, আলম বাদশাসহ আরও বেশ কয়েকজন বলেন, আমরা শ্রমিক হয়ে জানি না নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটা কীভাবে সম্ভব? আমর ওই কমিটি মানি না! কারণ চলমান কমিটির মেয়াদ এখনো শেষ হয়নি।
বুড়িমারী স্থলবন্দর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর মান্নান ও বুড়িমারী স্থলবন্দর লোড-আনলোড লেবার ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম নতুন কমিটিকে অগ্রহযোগ্য দাবি করে বলেন, সুন্দর পরিবেশের স্থলবন্দরকে তারা বিভ্রান্তিকর ও বিশৃঙ্খলা করার পায়তারা করছে। শ্রমিকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এটা রীতিমতো শ্রমিকদের সঙ্গে প্রতারণার সামিল।
এ বিষয়ে নতুন কমিটির সভাপতি জফির আলী ভোলার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ওরা কারা? ওরা যদি অফিস থেকে অনুমতি নিয়া কমিটি করতে পারে আমরা যাবো না। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচন হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ওরা মুলত আমাদের সংগঠনের কেউ না। আর নির্বাচনের বিষয়ে আমি আদালতে জবাব দেবো।